আসন্ন তৃতীয় ঢেউ! পুজোর সময় কী করবেন, পরামর্শ কেন্দ্রের
ভারত এখনও কোভিডের দ্বিতীয় ওয়েভের (Second Wave) কবল থেকে বেরিয়ে আসেনি। সামনেই আছে দেওয়ালি, ইদ ও গণেশ চতুর্থী। এখন বাইরে ভিড় না করে সকলে ঘরে থেকেই উত্সব পালন করুন। বৃহস্পতিবার এমনই আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভি কে পাল এদিন বলেন, ‘গণেশ চতুর্থী, দেওয়ালি ও ইদের মতো উত্সব পালিত হবে কয়েক মাসের মধ্যেই। গত বছরের মতো এবারেও নানা বিধিনিষেধ মেনে উত্সব পালন করতে হবে।
আমরা সাধারণ মানুষের উদ্দেশে আহ্বান জানাচ্ছি, বাড়িতে থেকেই উত্সব পালন করুন।’ করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকের সময় ভি কে পাল আবেদন জানান, প্রকাশ্য স্থানে গেলে সকলেই যেন মাস্ক পরেন। আইসিএমআরের ডায়রেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব বলেন, ‘কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ এখনও রয়েছে। তাই প্রত্যেক নাগরিকের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে, তাঁরা যেন কোভিড বিধি মেনে চলেন।’
আরো পড়ুন : এবার ট্রেনের টিকিট ক্যানসেল না করেই বদলাতে পারবেন সফরের তারিখ! একনজরে রেলওয়েজের নয়া নিয়ম
বৃহস্পতিবার সকালে জানা যায়, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ৪৭ হাজার ৯২ জন কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন। গত দু’মাসে দৈনিক এই সংক্রমণ সর্বাধিক। দেশ জুড়ে যত মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের ৭০ শতাংশই কেরলের বাসিন্দা। দক্ষিণের ওই রাজ্যটিকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞরা কেরলে গিয়ে কোভিড মোকাবিলায় সাহায্য করছেন।
কেরলের জন্য প্রতিবেশী রাজ্য কর্নাটক ও তামিলনাড়ুতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিন কর্নাটক ও তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মালব্য। তিনি দুই রাজ্যকে অনুরোধ করেন, কেরল সংলগ্ন জেলাগুলিতে যেন টিকাকরণ বাড়ানো হয়। এখনও পর্যন্ত ভারতে কোভিড ভ্যাকসিনের ৬৬ কোটি ২০ লক্ষ ডোজ দেওয়া হয়েছে। দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যা ৯৪ কোটি ৪০ হাজার। তাঁদের মধ্যে ৫৪ শতাংশ অন্তত একটি ডোজ নিয়েছেন।
আরো পড়ুন : প্রয়াত রাজ্যসভার সাংসদ প্রবীণ সাংবাদিক চন্দন মিত্র
দু’টি ডোজ নিয়েছেন ১৬ শতাংশ। ভ্যাকসিনের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে গত কয়েকদিনে টিকাকরণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভারতীয়দের দুই তৃতীয়াংশের শরীরেই তৈরি হয়েছে কোভিড প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি। এর ফলে কোভিডের আরও একটি ওয়েভ এলেও তা দ্বিতীয় ওয়েভের মতো মারাত্মক হবে না। গত এপ্রিল ও মে মাসে দ্বিতীয় ওয়েভ ছিল তুঙ্গে। হাজার হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছিলেন। হাসপাতালে বেড ও অক্সিজেন সিলিন্ডারের অভাব দেখা গিয়েছিল।
সূত্র: দ্য ওয়াল