মালদা

কুপিয়ে খুন করা হল মালদার তৃণমূল নেতাকে, এলাকায় উত্তেজনা

কুপিয়ে খুন করা হল মালদার তৃণমূল নেতাকে, এলাকায় উত্তেজনা - West Bengal News 24
প্রতীকী ছবি

খুন হয়ে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের এক বুথ সভাপতি। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার চাঁচোল থানার চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের খানপুর গ্রামে। তবে ঠিক কী কারনে এই ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, সেতাবুর রহমান(৪১) নামের ওই তৃণমূল নেতার সঙ্গে গ্রামেরই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার দেওরের স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল। তবে ইদানিং কালে তাতে ভাটা পড়েছিল।

এখন সেই পরকীয়ার জেরেই খুন হয়েছেন সেতাবুর। আবার গ্রামবাসীদের অপর অংশের দাবি, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি সেতাবুর। তিনি ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে মহিলার স্বামীর হাতে খুন হন। এদিকে পুলিশ গ্রামে গিয়ে দেহ উদ্ধার করার পাশাপাশি কামালুদ্দিন শেখ নামে ওই গৃহবধূর স্বামীকেও গ্রেফতার করেছে।

জানা গিয়েছে, সেতাবুরের সঙ্গে কামালুদ্দিন শেখের স্ত্রী নাইমা বিবির পরকিয়ার সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই সম্পর্কের কথা দুই বাড়িতেই জানাজানি হতে বেশি দেরী হয়নি। ৩-৪ বছরের সেই সম্পর্ক অবশ্য ইদানিংকালে কিছুটা ভাটা পড়েছিল। বছর ২৯’র নাইমা বিবিই সম্পর্ক থেকে বেড়িয়ে যেতে চেয়েছিলেন যা সেতাবুর মানতে পারেনি।

আরো পড়ুন : হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক! অনলাইন ক্লাস চলাকালীন স্কুলের গ্রুপে ছাত্রীর নগ্ন ভিডিও পোস্ট, গ্রেপ্তার ১

বৃহস্পতিবার রাতে একটি ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান সেতাবুর। পরে কামালুদ্দিনের বাড়িতে সেতাবুর ও নাইমা বিবির রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। দুইজনকেই ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছিল বলে অনুমান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেতাবুর ও নাইমাকে প্রথমে মালতিপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও সব শেষে মালদহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়া হয়। কিন্তু এদিন ভোরে সেখানেই মারা যান সেতাবুর। নাইমার চিকিত্‍সা চলছে।

সেতাবুরের স্ত্রী আলিয়ারা খাতুনের দাবি, ‘কামালুদ্দিনের ভাই হল জামালুদ্দিন। তাঁর বউ সরিফা বিবি পঞ্চায়েত সদস্যা। কামালের বউয়ের সঙ্গে আমার স্বামীর সম্পর্ক ছিল বলে উনিই রটিয়েছেন। এখন ওরাই আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে। আমি ওদের শাস্তি চাই।’

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ঘটনার সঙ্গে গ্রাম্য বিবাদ বা রাজনীতির বিন্দুবিসর্গ যোগ নেই। পরকীয়ার জেরেই বিবাদ আর তার জেরেই সম্ভবত এই ঘটনা। তাঁদের অনুমান কামালুদ্দিনই সম্ভব দুইজনকে হাঁসিয়া দিয়ে কুপিয়েছে। তাই তাকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া ঘটনার সময় সে ছাড়া আর কেউ বাড়িতে ছিলও না।

সূত্র: এই মুহুর্তে

আরও পড়ুন ::

Back to top button