একে একে একাত্তর, কালিয়াগঞ্জের বিধায়কের তৃণমূলে যোগ, ক্রমশ কমছে BJP-র বিধায়ক সংখ্যা
বিজেপি যেন মালদহের গঙ্গা! ভাঙছে তো ভাঙছেই। শনিবার আরও এক বিধায়ক যোগ দিলেন তৃণমূলে। পদ্মশিবির ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতে জোড়া ফুলের পতাকা তুলে নিলেন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়। ফলে চার মাস কাটতে না কাটতেই বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৭ থেকে নেমে দাঁড়াল ৭১ -এ। এদিন সৌমেনের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি কানহাইয়ালাল আগরওয়ালও।
পুরনো দলে ফিরে সৌমেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন তৃণমূল কংগ্রেস করেছি। ঘটনাচক্রে বিজেপির টিকিটে লড়াই করেছিলাম। কিন্তু আমার মন-প্রাণ তৃণমূল কংগ্রেসেই পড়ে ছিলো। দিদি যেভাবে উত্তরবঙ্গ ও বাংলার জন্য কাজ করছেন, আমি সেই কাজের সহযাত্রী হওয়ার জন্য দলে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তাঁকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, অনেক বিজেপি বিধায়ক অভিযোগ করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন না। ফোন করলে ফোন ধরেন না।
আরো পড়ুন : একদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৭০০, দুই জেলার কোভিড গ্রাফ নিয়ে জারি চিন্তা
আপনার অভিজ্ঞতা কী? জবাবে তরুণ এই বিধায়ক বলেন, শুনেছি দরকারে তাঁকে পাওয়া যায় না। তবে আমার কখনও তাঁকে প্রয়োজন হয়নি। ফোনও করিনি কখনও। গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলকে শূন্য করে দিয়েছিল বিজেপি। বিধানসভাতেও বিজেপি যা ফলাফল করেছে তাতে উত্তরবঙ্গকে গেরুয়া শিবিরের শক্ত ঘাঁটি বলাই যায়।
এবার সেখানেও ভাঙনের মুখে পড়তে হল নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের দলকে। ভোটে ৭৭টি আসন জিতেছিল বিজেপি। তারপর জগন্নাথ সরকার এবং নিশীথ প্রামাণিক সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা সাংসদ হিসেবেই থেকে যাবেন। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন দু’জন। বিজেপি কমে হয় ৭৫। মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরার পর পদ্ম শিবিরের বিধায়ক সংখ্যা কমে ৭৪। তারপর গত এক সপ্তাহে তিন বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এলেন। প্রথমে বিষ্ণুপুরের তন্ময় ঘোষ, তারপর বাগদার বিশ্বজিত্ দাস এবং আজ কালিয়াগঞ্জের সৌমেন রায়।
সূত্র: দ্য ওয়াল