একেই বলে উলটপুরাণ! বাংলায় আট দফা ভোট, গোটা নির্বাচন পর্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বুটের আওয়াজ—সব মিলিয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে চোখা চোখা আক্রমণ শানাত তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা বলতেন অমিত শাহের দফতর থেকে চলছে নির্বাচন কমিশন। আর বিজেপি নেতারা মুচপকি হেসে বলতেন, দ্যাখ কেমন লাগে। দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), শুভেন্দু অধিকারীদের সামনে বুম ধরলেই বলতেন, এটা পঞ্চায়েত ভোটের মতো হবে না। ভোট হয়ে গিয়েছে চার মাস হয়ে গেল।
এবার যখন ভবানীপুরের উপনির্বাচন ঘোষণা হল তখন দেখা গেল একেবারে উল্টো ছবি। হাসছে তৃণমূল। আর কমিশনকে বিঁধছেন দিলীপ ঘোষ, শমীক ভট্টাচার্যরা। এদিন কমিশন ভবানীপুরের উপনির্বাচন ও সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরের সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করেছে। এই তিন কেন্দ্রে ভোট হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। গণনা হবে ৩ অক্টোবর।
এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘আমরা চিন্তায় আছি, হঠাত্ ভবানীপুরেই কেন ভোট হবে? তাহলে বাকি কেন্দ্রে কেন নয়?’ গোসাবা, দিনহাটা, শান্তিপুর এবং খড়দহে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। এই চার কেন্দ্রের মধ্যে কোথাও জয়ী প্রার্থী মারা গিয়েছেন আবার কোথাও জয়ীরা পদত্যাগ করেছেন।
আরো পড়ুন : একে একে একাত্তর, কালিয়াগঞ্জের বিধায়কের তৃণমূলে যোগ, ক্রমশ কমছে BJP-র বিধায়ক সংখ্যা
এ দিন কমিশনের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে, সাংবিধানিক প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচন ঘোষণা করা হল। অর্থাত্ মুখ্যমন্ত্রী বিধায়ক না হতে পারলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সরকার চলছে, তাহলে সাংবিধানিক সংকট কেন তৈরি হবে? কী উদ্দেশে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? এখনও জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়নি। যানবাহন ঠিক মতো চলছে না।
তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা প্রশ্ন তুলতেই পারি।’ তিনি এ দিন জোর দিয়ে বলেন, ‘কমিশন অবশ্যই প্রভাবিত হয়েছে। আমরা জানতে চাইব কেন এটা হয়েছে।’ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘বাংলায় তো এমনিই সংবিধান সংকটে। নতুন করে আবার সংকট তৈরির কী আছে। কমিশন কেন এটা করল তার জবাব আমরা চাইব।’
সূত্র: দ্য ওয়াল