বড় খবর : মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হতে পারেন, আদালতের কাছে সুরক্ষাকবচ চাইলেন শুভেন্দু!
শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দেহরক্ষী খুনের মামলায় সোমবার বিরোধী দলনেতাকে ভবানী ভবনে তলব করেছিল সিআইডি (CID)। তার আগে হাইকোর্টের(Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন শুভেন্দু। বিচারপতি শেখর মান্থার এজলাসে মামলা দায়ের করেছেন বিরোধী দলনেতা। সোমবার দুপুর দুটোর সময় এই মামলার শুনানি হবে।
আদালতে শুভেন্দুর আইনজীবী আর্জি জানিয়েছেন, শুভব্রত চক্রবর্তীর গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন। এই সময়ে সিআইডি তলব করছে। তাঁর মক্কেলকে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দেওয়া হোক। বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেছেন, দুপুর দুটো পর্যন্ত শুভেন্দুকে গ্রেফতার করা যাবে না। আদালতে মামলা করার পাশাপাশি ইমেল মারফত শুভেন্দু সিআইডি-কেও জানিয়েছেন যেহেতু হাইকোর্টে এই মামলা চলছে তাই তিনি হাজিরা দিতে যাবেন না।
আরো পড়ুন : মমতার বিরুদ্ধে ফের প্রার্থী কী শুভেন্দু? বিরোধী দলনেতার মন্তব্যে তুমুল ঝড়
২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রাজ্যের তত্কালীন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী। তার তিনবছর পরে পুলিশে এফআইআর করেন মৃতের স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী। মামলার তদন্তের দায়িত্বে আছে সিআইডি। জুলাই মাসে দু’বার শুভেন্দুবাবুর বাড়িতে যান গোয়েন্দা অফিসাররা। শুভেন্দুবাবুর দীর্ঘদিনের দেহরক্ষী ছিলেন শুভব্রত। তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা জানান, স্বামীর মৃত্যুর সময় তিনি একটি স্কুলে কর্মরত ছিলেন।
হঠাত্ খবর পান, কে বা কারা তাঁর স্বামীকে গুলি করেছে। কাঁথি হাসপাতালে গিয়ে তিনি দেখেন, শুভব্রতর দেহ রক্তে ভেসে যাচ্ছে। ডাক্তাররা বলেন, আহতকে এখনই কলকাতায় স্থানান্তরিত করতে হবে। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্স আসতে দেরি করে। সুপর্ণার অভিযোগ, সেজন্যই তাঁর স্বামীর মৃত্যু ঘটে।
সুপর্ণাদেবীকে অনেকে প্রশ্ন করেন, তিনি স্বামীর মৃত্যুর এতদিন বাদে এফআইআর করছেন কেন? তিনি বলেন, শুভব্রতর মৃত্যুর পরেই এফআইআর করা সম্ভব ছিল না। এখন উপযুক্ত পরিস্থিতি দেখে তিনি পুলিশে অভিযোগ জানাচ্ছেন।
সূত্র: দ্য ওয়াল