রাজ্য

হাই কোর্টে ধাক্কা বিশ্বভারতীর, সাসপেন্ড হওয়া ৩ পড়ুয়াকে ক্লাসে ফেরানোর নির্দেশ

হাই কোর্টে ধাক্কা বিশ্বভারতীর, সাসপেন্ড হওয়া ৩ পড়ুয়াকে ক্লাসে ফেরানোর নির্দেশ - West Bengal News 24

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে বড়সড় ধাক্কা খেতে হল উপাচার্য বিদ্যুত্‍ চক্রবর্তীকে। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা এদিন এই ঘটনার রায়ে জানিয়েছেন, ‘বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৩ পড়ুয়াকে বহিষ্কারের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা কার্যত লঘু পাপে গুরু দন্ডের সমান। তাঁরা এমন কোনও অপরাধ করেননি যে তাঁদের এই শাস্তি দিতে হবে। বহিষ্কার প্নেক বড় শাস্তি। তাই বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্তের ওপর অন্তর্বতীকালীন স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে।

উপাচার্য যদি নিজেকে আইনের উর্ধ্বে ভাবেন তাহলে তাঁকে আদালতই উচিত শিক্ষা দেবে। তবে পড়ুয়াদেরও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সব ধরনের আন্দোলন প্রত্যাহার করতে হবে। আগামিকাল থেকেই বহিষ্কৃত ৩ পড়ুয়া সব ক্লাসে যোগ দিতে পারবে। অধ্যাপকদের মধ্যেও যারা সাসপেন্ড বা বহিষ্কার হয়েছেন তাঁরাও সুবিচারের জন্য আদালতে আবেদন করতে পারবেন।’ সন্দেহ নেই এদিনের রায় কার্যত বিদ্যুত্‍ চক্রবর্তীর গালে বিরাশি সিক্কার এক চড় যা তাঁকে নিঃশব্দে হজম করতে হবে।

আরো পড়ুন : বাংলায় এবার তালিবানি ফতোয়া! অনাত্মীয়ের সঙ্গে ট্রেন সফরের অপরাধে একঘরে মহিলার পরিবার

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি এবং রাজনীতি বিভাগের ছাত্র ফাল্গুনী পান, সোমনাথ সৌ এবং হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত বিভাগের ছাত্রী রূপা চক্রবর্তীকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সাসপেন্ড করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ ছিল, উপাচার্যের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন এঁরা। সেই কারণে সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত। পরবর্তী সময়ে তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারও করেন উপাচার্য। এর প্রতিবাদে কলকাতা হাইকোর্টে পালটা মামলা করেন ছাত্রছাত্রীরা।

এদিন সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে। তিনি এই মামলার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে জানান, ওই ৩ পড়ুয়াকে অবিলম্বে ক্লাসে ফেরাতে হবে। তবে তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে যে অবস্থান বিক্ষোভ চলছে, তা প্রত্যাহার করে নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পঠনপাঠনের পরিবেশ ফেরাতে হবে। সাসপেন্ড হওয়া ৩ পড়ুয়াকে বৃহস্পতিবার থেকেই ক্লাস করতে দিতে হবে।

আরো পড়ুন : ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী দিচ্ছে না কংগ্রেস, ঘোষণা অধীরের

এদিনের রায়ে বিচারপতি স্পষ্ট জানান, ‘আমি স্বীকার করছি যে ছাত্রদের সঙ্গে যা হয়েছে, সেটা ঠিক হয়নি। কিন্তু এটাও ঠিক হচ্ছে না। ধরে নিলাম ভিসি-র আচরণ খুব খারাপ। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা কোর্টে আসতে পারতেন। এ ভাবে প্রতিবাদ কেন? দু’সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দেওয়া হল। আশা করা হচ্ছে সবাই এই সমস্যার সমাধান করবে। ভিতরে বা বাইরে সব আন্দোলন বন্ধ করতে হবে। আমি ছাত্রদের সাসপেনশন তুলে দিতে বলছি। কিন্তু কোনও বাইরের লোক আসবে না। ছাত্ররা আন্দোলন বন্ধ করবে। কোনও রাজনৈতিক দলের নাক গলানো চলবে না। বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত অনেক বেশি শাস্তি। অবিলম্বে ফেরাতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক অবস্থা। প্রত্যাহার করতে হবে সমস্ত অবস্থান-বিক্ষোভ। উপাচার্য নিজেকে আইনের থেকে বড় ভাবলে তাঁকে শিক্ষা দেবে আদালত।’

সূত্র: এই মুহুর্তে

আরও পড়ুন ::

Back to top button