শুক্রবার গণেশ চতুর্থীর শুভ দিনে ভবানীপুরে উপনির্বাচনে মনোনয়ন পেশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তিনি এমনিতেই সকলের থেকে এগিয়ে। উপনির্বাচন ঘোষণা হতেই দল তাঁর নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে দেয়। এরপরই শুরু হয়ে যায় দেওয়াল লিখন, প্রচার।
তারকা প্রচারকের নাম ঘোষণা করেই দলীয় সংগঠনকে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন ভোট সামলানোর জন্য। সকলের আগেই জমা করলেন মনোনয়নপত্র। এবার নিজেই প্রচারের লাইম লাইট নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিতে সোশ্য়াল মিডিয়ায় শুরু করে দিলেন ক্যাম্পেইন।
মনোনয়ন জমা দিয়েই সোশ্য়াল মিডিয়ায় এক দীর্ঘ পোস্ট লিখলেন। শুরু করলেন, ‘মোর নাম এই বলে খ্য়াত হোক, আমি তোমাদেরই লোক’, এই লাইন দুটি দিয়ে। এরপর লিখলেন, ভবানীপুরের মানুষের সাথে আমার নাড়ির বন্ধন অচ্ছেদ্য গ্রন্থিতে আবদ্ধ। বাম শাসনে স্বৈরাচারী শাসকের রক্তচক্ষুর পরোয়া না করে তাঁরা আমার সাথে বারংবার প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। তাঁদের সবাইকে আমি নত মস্তকে প্রণাম জানাই।
আরও পড়ুন : প্রিয়াঙ্কা কেন মমতার বিরুদ্ধে? ‘গোপন কথাটি’ কী? ভবানীপুরে প্রচার-পরিকল্পনা জানালেন দিলীপ
পাশাপাশি আক্রমণ করলেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। দিল্লির জনবিরোধী নীতি, করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতা, ভ্রান্ত টিকানীতি সহ বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরলেন সুচতুরভাবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথায়, জয় কার্যত নিশ্চিত জেনেও তিনি এতটুকু জমি ছাড়তে নারাজ সেটা আবারও প্রমান করলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।
ভবানীপুর কেন্দ্রে গুজরাটি,পাঞ্জাবি থেকে শুরু করে মাড়োয়ারি-সহ অন্য়ান্য় ভাষাভাষীর মানুষজনের বাস। এখানে অবাঙালির সংখ্যা অনেক বেশি থাকায় বিজেপি এবার প্রার্থী করেছে প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে। তৃণমূল নেত্রীও সেটি মাথায় রেখে প্রচারে কৌশল ঠিক করেছেন। জানা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহে ২ দিন ভবানীপুরের উত্তম উদ্যানে হিন্দিভাষীদের সঙ্গে একটি কর্মিসভা করবেন মমতা। চেনা মাটি হলেও প্রচারে এতটুকুও খামতি রাখতে নারাজ নেত্রী।
সূত্র: এই মুহুর্তে