কলকাতা

বেহালা জোড়া খুনের কিনারা! গয়না চুরির জন্য খুন, ধৃত দুই মাসতুতো ভাই

Behala Murder Case : বেহালা জোড়া খুনের কিনারা! গয়না চুরির জন্য খুন, ধৃত দুই মাসতুতো ভাই - West Bengal News 24

বেহালার পর্ণশ্রীতে ঘটে যাওয়া মা-ছেলের জোড়া খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। জোড়া খুনের ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে দুই ভাইকে। দুইজনই জেরায় পুলিশের কাছে খুনের কথা স্বীকার করেছে। রবিবার বিকালে কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলিধর এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, ধৃত ২ যুবক সম্পর্কে খুন হওয়া সুস্মিতা মণ্ডলের নিজের দুই মাসতুতো ভাই।

নেহাত টাকার লোভেই এই খুনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সোমবারই এই দুইজনকে আদালতে তোলা হবে। ধৃত দুইজন হল সন্দীপ দাস ও সঞ্জয় দাস। দুইজনই মহেশতলার বাসিন্দা।

গত সোমবার বেহালার পর্ণশ্রীতে একটি আবাসনে সুস্মিতা মণ্ডল(৪৫) ও তাঁর ছেলে তমোজিৎ মণ্ডল(১৩)-এর গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। প্রথম থেকেই এই ঘটনা ঘিরে ছিল পরতে পরতে রহস্য। তবে পুলিশ মোটামুটি নিশ্চিত ছিল এই ঘটনায় পরিচিত ও ঘনিষ্ঠজনেরাই জড়িত। কেননা ওই দুইজনের মৃত্যুর সময় না কোনও ধ্বস্তাধ্বস্তির ঘটনা ঘটেছিল না কোনও চিৎকার চেঁচামেচির ঘটনা ঘটেছিল।

আরও পড়ুন : ‘অর্জুন তো মস্তান’, আক্রমণ ফিরহাদের! ‘ববি হাকিম আল কায়েদার লোক’, বিস্ফোরক অর্জুন

এমনকি দরজা ভাঙারও কোনও ঘটনা সামনে আসেনি। প্রতিবেশীরা এই জোড়া খুনের ঘটনার কোনও আঁচই পায়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পারে সুস্মিতা দেবীর সঙ্গে তাঁর স্বামী তপন মণ্ডলের সম্পর্ক মোটেও ভালো ছিল না। একই সঙ্গে তপনবাবুর বয়ানে নানা অসঙ্গতি থাকায় তাঁর ওপরেই পুলিশের সন্দেহ সব থেকে বেশি ছিল। তাই দফায় দফায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি আটকও করেছিল পুলিশ। কিন্তু তপনবাবুর পক্ষে প্রকাশ্যেই সওয়াল করেন সুস্মিতাদেবীর বাবা। তিনি সাফ জানান, তাঁর জামাই এই খুন করতে পারে না।

এরপরে এই ঘটনার তদন্ত আরও জটিল হয়ে ওঠে পুলিশের কাছে। তাঁরা সুস্মিতাদেবীর বাবার সঙ্গেই আলাদা করে কথা বলে জানতে পারেন সুস্মিতার দুই মাসতুতো ভাই সন্দীপ দাস ও সঞ্জয় দাসের যাতায়াত রয়েছে ওই বাড়িতে। সেই সূত্র ধরেই এগোতে শুরু করে পুলিশ। এরপর নানা সূত্রে তাঁরা জানতে পারেন বাজারে দুই ভাইয়েরই ভালো রকম ধার রয়েছে। এরপর শনিবার রাতে মহেশতলা থেকেই তাঁরা সন্দীপকে তুলে আনেন লালবাজারে।

আরও পড়ুন : মমতার হাত ধরে সামনে হাঁটি, দিল্লি হবে বাংলার ঘাঁটি, মমতা ব্যানার্জির জন্য পুজো দিলেন মদন

সেখানেই রাতভর জেরা চলে সন্দীপের। সেখানেই একসময় ভেঙে পড়ে খুনের কথা স্বীকার করে সন্দীপ। জানায় ভাই সঞ্জয় দাসকে সঙ্গে নিয়েই এই খুনের ঘটিয়েছজে সে। এরপর পুলিশ এদিন দুপুরে ডালহৌসি এলাকা থেকে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জয়েন্ট সিপি ক্রাইম জানিয়েছেন, বাজারের ধার শোধ করতেই সুস্মিতার বাড়িতে ডাকাতির ছক কষেছিল তারা।

দুইজনই জানতো সুস্মিতার সঙ্গে তপনের সম্পর্ক ভালো নয়। সেই সুযোগেই তারা খুনের ছক কষে ঘটনার দিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ওই আবাসনে পৌঁছায়। দুপুর সওয়া ৩টে নাগাদ তাঁরা প্রথমে সুস্মিতাকে ও পরে তমোজিতকে খুন করে। সুস্মিতাকে খুন হতে দেখে ফেলেছিল তমোজিত। তাই তাঁকেও খুন করা হয়। এরপর আলমারির চাবি খুলে সেখানে থাকা টাকাপয়সা ও গয়না নিয়ে দুই ভাই তাদের মহেশতলার বাড়িতে ফিরে যায়। পরে তারা আবারও রাতে ওই আবাসনে আসে এই ঘটনার জেরে তপনবাবুকে সমবেদনা জানাতে।

সূত্র: এই মুহুর্তে

আরও পড়ুন ::

Back to top button