মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি তাঁরা। এমনকী ভবানীপুর–সহ তিন কেন্দ্রে নির্বাচন থেকে সরে আসায় বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছে বামফ্রন্ট। যদিও এখন উভয়ের মধ্যে জোটের বিচ্ছেদ ঘটেনি। এই পরিস্থিতিতে এবার কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। এমনকী জোট ভেঙে গেলে তার দায় যে কংগ্রেসের উপরেই বর্তাবে তার ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন বর্ষীয়ান বামপন্থী নেতা।
ত্রিপুরায় সিপিআইএম–সহ বামফ্রন্টের দলগুলির অন্তত ৫০টি কার্যালয় ভাঙচুর–অগ্নিসংযোগ করেছে বিজেপি বলে অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ভারত বন্ধ সফল করার দাবিতে ধর্মতলায় সংক্ষিপ্ত সভা করা হয়। সেখানেই তিনি উপনির্বাচন এবং নির্বাচন নিয়ে বলেন, ‘ভবানীপুরে প্রার্থী না দেওয়া নিয়ে কংগ্রেস আমাদের সঙ্গে কোনও কথা বলেনি।
জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জের ক্ষেত্রে বামফ্রন্টকে সমর্থন করার কথা তাঁরা বললেও এখন তাঁরা পিছিয়ে গিয়েছে। ওখানে তাঁরা নানা ধরনের অবস্থান নিচ্ছেন বলে শুনেছি। আসলে তিন কেন্দ্রের ভোট নিয়ে ওদের আলোচনা করার কথা বলা হলেও তাতে সাড়া দেয়নি। তাই আমরা বামফ্রন্টগতভাবেই লড়াই করব বলে ঠিক করেছি।’
আরও পড়ুন : কোথাও কোনও অশান্তি হলেই দ্রুত পদক্ষেপ, উপনির্বাচনের আগে কড়া বার্তা মুখ্যসচিবের
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী প্রথমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও যেভাবে পরে ব্যাকগিয়ার দিয়েছেন তাতেই চটেছে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান। এখন কংগ্রেস প্রচারেও নামবে না বলে সূত্রের খবর। আইএসএফ–ও সরে দাঁড়িয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তাহলে কী কংগ্রেসের জন্য জোট ভেঙে যাচ্ছে? বিমানবাবুর সটান জবাব, ‘আমরা জোট ভাঙতে চাই না। আগেও সে কথা বলেছি। জোট যদি ভেঙে যায়, তা হলে কংগ্রেসের ভূমিকা মানুষ দেখবেন।’
এখন এই তিন কেন্দ্রে বামফ্রন্ট প্রার্থী দিলেও তেমন জোরদার প্রচার দেখা যাচ্ছে না। সেখানে বৃষ্টি মাথায় করে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রচার করতে দেখা যাচ্ছে। বিজেপি প্রার্থীর প্রচার করার কথা থাকলেও বৃষ্টির জন্য তা বাতিল করা হয়। এই পরিস্থিতিতে জোটের অন্দরে কোন্দল উপনির্বাচনে তাঁদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস