ঘরছাড়া অন্তত ৩০টি পরিবার, সামশেরগঞ্জে ফের ভাঙন গঙ্গায়
বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। এর মধ্যে ভয়াবহ ভাঙন শুরু মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের দুর্গাপুর গ্রামে। বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে গঙ্গা নদীতে ভাঙন। দুর্গাপুর গ্রামে কয়েক বিঘা জমি ইতিমধ্যেই জলে তলিয়ে গেছে।
ভাঙন আরও বাড়তে পারে, এই আশঙ্কায় ওই গ্রামের প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি পরিবার ইতিমধ্যেই বাড়ি ছেড়ে নিজেদের জিনিসপত্র নিয়ে অন্যত্র সরে যেতে শুরু করেছে। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে দুর্গত পরিবারগুলিকে স্থানীয় একটি স্কুলে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং তাদের ত্রাণ হিসেবে শুকনো খাবার ও ত্রিপল দেওয়া হচ্ছে।
মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ধানঘড়া, শিবপুর গ্রামে গত বছর ভয়াবহ ভাঙ্গনে প্রায় ৬০০টি পরিবার গৃহহীন হয়। তাদের মধ্যে সম্প্রতি কয়েকটি পরিবারকে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছে । কিন্তু সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের একাধিক গ্রামে গঙ্গা নদীর ভাঙন এখনও চলছে। গত আগস্ট মাসে গঙ্গার পাড় ভেঙ্গে জলমগ্ন হয়েছিল বাসুদেবপুর, শিবপুর ও ধানঘড়ার বিভিন্ন এলাকা। নদী ভাঙনে প্রায় ১০টি বাড়ি জলে তলিয়ে যায় সেই সময়।
আরও পড়ুন : রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিলেন অর্পিতা ঘোষ, পদত্যাগের নেপথ্যে কারণ কী? অভিষেককে চিঠি লিখলেন নেত্রী
বুধবার সকাল থেকে শুরু হওয়া নদী ভাঙনে দুর্গাপুর গ্রামের প্রায় ১০ বিঘা জমি নদীতে তলিয়ে গেছে। গঙ্গা নদী এই মুহূর্তে জনপদ থেকে ২ থেকে ৩ মিটার দূরে। নদী ভাঙন শুরু হওয়ার খবর পেয়েই এলাকা ঘুরে গেছেন সামশেরগঞ্জ বিডিও কৃষ্ণচন্দ্র মুণ্ডা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভাঙনের খবর পেয়ে এলাকার বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম এলেও তিনি দুর্গত পরিবারগুলিকে সাহায্য করেননি।
নদী ভাঙনে গৃহহীন এক বাসিন্দা জানান, ‘এই মুহূর্তে আমাদের মাথার ওপরের কোনও ছাদ নেই। আমাদের কোনও খাওয়ার জিনিস নেই। কোথায় যাব, কীভাবে থাকব কিছুই জানি না। প্রশাসন যদি আমাদের না দেখে তাহলে আমাদের আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনও রাস্তা থাকবে না।’
সূত্র: আজকাল