রাজ্য

‘অজানা জ্বর ফেলে সরকারের নজর ভবানীপুরে’, কেন্দ্রের দ্বারস্থ শুভেন্দু

Suvendu Adhikari : ‘অজানা জ্বর ফেলে সরকারের নজর ভবানীপুরে’, কেন্দ্রের দ্বারস্থ শুভেন্দু - West Bengal News 24

জেলায় জেলায় জ্বরে আক্রান্ত বহু শিশু। হাসপাতালের বেড ভর্তি। জ্বরের প্রকোপে মৃত্যুও হয়েছে কয়েকজনের। এই নিয়ে এবার কড়া প্রতিক্রিয়া রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে কেন্দ্রের সাহায্য চাইলেন তিনি।

টুইট করে কড়া ভাষায় শুভেন্দু লেখেন, ‘ভবানীপুরের ভোট নিয়ে ব্যস্ত রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি, বাংলার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে প্রতিনিধি দল পাঠান।’ টুইটে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্যকে ট্যাগও করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি উদ্বেগজনক উল্লেখ করে এদিন শুভেন্দু অধিকারী টুইটে লেখেন, ‘অবিলম্বে বাংলায় পাঠানো হোক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রতিনিধি দল।’ পাশাপাশি তিনি রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি লেখেন, ‘উত্তরবঙ্গ থেকে একের পর এক ভয়ংকর খবর আসছে।

আরও পড়ুন : ভোট-হিংসার তদন্তের পারিশ্রমিক ১০ লক্ষ টাকা সাম্মানিক নেবেন না মঞ্জুলা চেল্লুর

সাড়ে সাতশোর বেশি শিশু জ্বরে (Child Fever) আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসাধীন। ভাইরাল ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গ রয়েছে তাদের সকলেরই।’ তাঁর আরও দাবি, ‘এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই ছয়জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ফলে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

গত কয়েকদিন ধরেই জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং সহ উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু সংখ্যক শিশু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের পর এবার পুরুলিয়াতেও শিশুদের মধ্যে জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে। জানা গিয়েছে, ওই জেলার দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের শিশুবিভাগে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি বহু শিশু। বর্তমানে সেখানে সদর হাসপাতালের শিশুবিভাগে ২৩৫ জনেরও বেশি অসুস্থ শিশু ভর্তি রয়েছে। শিশু বিভাগে মারাত্মকরকমের ভিড় দেখা যাচ্ছে।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, জায়গার অভাবে একই বেডে চার থেকে পাঁচটি শিশুর চিকিৎসা চালাতে হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অধিকাংশ শিশুই জ্বর, সর্দি, কাশির উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে। কোনও শিশুর শরীরেই করোনার সংক্রমণ মেলেনি বলে খবর।

আরও পড়ুন : ধর্ষণের তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ! পুলিশের বিরুদ্ধেই তদন্তের নির্দেশ আদালতের

এদিকে, দার্জিলিং জেলায় থাবা বসিয়েছে স্ক্রাব টাইফাস। এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে জেলার ছ’ শিশু। অন্যদিকে, ডেঙ্গিতেও আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। সমস্তটা মিলিয়ে উদ্বেগে স্বাস্থ্য দফতর। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে ভিড় করছেন বাবা-মায়েরা।

বুধবার আবারও জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি থাকা শিশুদের শারিরীক অবস্থা দেখতে এসেছিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের পাঁচ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। অসুস্থ শিশুদের খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি অভিভাবকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন চিকিৎসকরা। ওই দিন রাউন্ড সেরে শিশু বিভাগের বাইরে বেরিয়ে চিকিৎসক দলের সদস্য গৌতম দাস বলেন, ‘জেলায় যে তিন জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে তারা জ্বরে মারা যায়নি। তাদের অন্য রোগ ছিল।’

সূত্র: এই সময়

আরও পড়ুন ::

Back to top button