জাতীয়

‘অ্যাম্বুলেন্স, চিকিত্‍সক ও জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী সকলকেই যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে’

‘অ্যাম্বুলেন্স, চিকিত্‍সক ও জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী সকলকেই যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে’ - West Bengal News 24

কৃষক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ডাকে সোমবার ভোর ছ’টা থেকে শুরু হয়েছে ভারত বন্‌ধ (Bharat Bandh)। ইতিমধ্যে হরিয়ানা ও পাঞ্জাবে কয়েকটি হাইওয়ে অবরোধ করা হয়েছে। কিন্তু কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত দাবি করলেন, তাঁরা কোনও রাস্তাই বন্ধ করেননি। অ্যাম্বুলেন্স, চিকিত্‍সক ও জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী সকলকেই যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে। রাকেশ টিকায়েতের কথায়, ‘আমরা কিছুই বন্ধ করিনি। আমরা কেবল একটি বার্তা দিতে চেয়েছি।’

দোকানদারদের উদ্দেশে তিনি আহ্বান জানান, দোকান বন্ধ রাখুন। বিকাল চারটে অবধি দোকান খুলবেন না। ৪০ টিরও বেশি সংগঠনকে নিয়ে গঠিত সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এদিন ভোর ছ’টা থেকে দিল্লি-মিরাট এক্সপ্রসওয়ে অবরোধ করে। গাজিপুরে ওই অবরোধের জন্য উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লিগামী যানবাহন চলতে পারেনি। কৃষক সংগঠনগুলি জানিয়েছে, ১২ ঘণ্টার এই বন্‌ধে দেশ জুড়ে সরকারি ও বেসরকারি অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কারখানা ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে।

একইসঙ্গে বলা হয়েছে, বিক্ষোভ থাকবে শান্তিপূর্ণ। এদিন ভোরেই কৃষকরা হরিয়ানার কাছে শম্ভু সীমান্তও অবরোধ করেন। রবিবার ট্রাফিক পুলিশ সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে বলেছিল, যানজটের জন্য প্রস্তুত থাকুন। হরিয়ানা পুলিশের এক মুখপাত্র রবিবার বলেন, ‘আগামীকাল কৃষকরা হাইওয়েতে ধর্নায় বসতে পারেন। কয়েক ঘণ্টার জন্য জাতীয় ও রাজ্যের হাইওয়েগুলিতে যানজট দেখা দিতে পারে।’

আরও পড়ুন : শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ‘ব্লুটুথ স্যান্ডেল’ পরে জালিয়াতির চেষ্টা!

পাঞ্জাবে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি নভজ্যোত্‍ সিং সিধু দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়েছেন, বন্‌ধকে সমর্থন করুন। টুইট করে তিনি বলেন, ‘প্রদেশ কংগ্রেস দৃঢ়ভাবে কৃষক ইউনিয়নগুলির ভারত বন্‌ধের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে। যখন ন্যায় ও অন্যায়ের মধ্যে লড়াই হয়, তখন কেউ নিরপেক্ষ থাকতে পারে না।’ উত্তরপ্রদেশে বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী বলেছেন, তাঁর দল শান্তিপূর্ণ ভারত বন্‌ধ সমর্থন করবে। তাঁর কথায়, ‘আমাদের দেশের কৃষকরা তিনটি কৃষি আইন মেনে নেননি। তাঁরা গত ১০ মাস ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।’

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল বলেছেন, ‘কালা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আমরা কৃষকদের পাশে আছি।’ রবিবার রাকেশ টিকায়েত বলেন, ‘কৃষকরা প্রয়োজনে ১০ বছর ধরে আন্দোলন করবেন। সরকারকে আমাদের কথা শুনতেই হবে।’ দিল্লিতে পুলিশের টহলদারি বাড়ানো হয়েছে। রাজধানীর সীমান্তে তৈরি হয়েছে পুলিশ পিকেট।

পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, দিল্লিতে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা করা হয়েছে। দিল্লি সীমান্তে তিনটি বিক্ষোভস্থল থেকে কোনও আন্দোলনকারী শহরে ঢুকতে পারবেন না। গতবছর নভেম্বর মাস থেকে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ সহ দেশের নানা প্রান্তের কৃষকরা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তাঁদের আশঙ্কা নতুন আইনগুলি কার্যকরী হলে তাঁরা ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পাবেন না। তাঁদের বৃহত্‍ সংস্থাগুলির মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে।

সূত্র: দ্য ওয়াল

আরও পড়ুন ::

Back to top button