ভবানীপুরের ভোটকে যে বিজেপি (BJP) হেলাফেলা করছে না তা প্রথম দিন থেকেই প্রচারে বোঝাচ্ছে গেরুয়া শিবির। সোমবার শেষ লগ্নের প্রচারে যদুবাবুর বাজারের সভা থেকে বড় ঘোষণা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সকালবেলা দিলীপ ঘোষের প্রচার নিয়ে তেতে উঠেছিল যদুবাবুর বাজার। সেই। তার খানিককক্ষণ পরেই সেখানে সভা করতে যান শুভেন্দু।
সেই সভা থেকে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘আমি শীর্ষ নেতৃত্বকে বলব, প্রিয়াঙ্কা (Priyanka Tibrewal) ভবানীপুর থেকে জিতলে আমার চেয়ারটা ওকে ছেড়ে দেব।’ এবারের ভোটে নন্দীগ্রাম ছিল বাংলার এপিসেন্টার। সেখানে মমতা-শুভেন্দু লড়াইয়ে চোখ ছিল জাতীয় স্তরেরও। তাতে শুভেন্দু জিতেছেন। যদিও নন্দীগ্রামের ভোট গণনা নিয়ে মামলা চলছে হাইকোর্টে।
পরাজিত হওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছ’মাসের মধ্যে নির্বাচিত হতেই ভববানীপুর থেকে লড়তে হচ্ছে দিদিকে। এদিন শুভেন্দু বোঝাতে চাইলেন, তিনি একবার মমতাকে হারিয়েছেন। তারপর বিরোধী দলনেতা হয়েছেন। এবার প্রিয়াঙ্কা হারালে, তিনিই বসবেন সেই পদে।
আরও পড়ুন : হাঁড়িতে ভাসিয়ে শিশুকে পোলিও টিকা খাওয়াতে নিয়ে এলেন বাবা
শুভেন্দুর এ হেন ঘোষণা শুনে তৃণমূলের এক মুখপাত্র বলেন, ‘শুভেন্দু জানেন প্রিয়াঙ্কা জিতবেন না, তাই এসব বলেছেন। উনি কিছু ছাড়তে জানেন না।
শুধু পদ আঁকড়ে থাকতে জানেন। ওঁর জন্যই বিজেপির বিধায়করা বিধানসভার কোনও কমিটির চেয়ারম্যান পদ পাননি।’ নন্দীগ্রামের ভোট নিয়ে এদিনও মমতার বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথায়, ‘শুভেন্দু অধিকারীকে হারাতে নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নিজেই হেরে চলে এসেছেন।
এমন বাউন্ডারি মেরেছি এখানে চলে এসেছেন।’ তবে এ নিয়ে ভবানীপুরের প্রচারে মমতা একাধিকবার বলেছেন, ‘নন্দীগ্রামে কী ভাবে কারচুপি করা হয়েছে তা আপনারা জানতে পারবেন। কোর্টে কেস চলছে, তাই আমি কিছু বলছি না।’
সূত্র: দ্য ওয়াল