রাজ্য

কয়লা পাচার-কাণ্ডে নয়া মোড়! ১২ অক্টোবর সশরীরে হাজিরার নির্দেশ অভিষেক-পত্নী রুজিরাকে

কয়লা পাচার-কাণ্ডে নয়া মোড়! ১২ অক্টোবর সশরীরে হাজিরার নির্দেশ অভিষেক-পত্নী রুজিরাকে - West Bengal News 24

কয়লা-কাণ্ডে নয়া মোড়! সশরীরে হাজিরার নির্দেশ অভিষেক-পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আগামী ১২ অক্টোবর দুপুর ২টোর সময়ে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিল্লি পাতিয়ালা কোর্টের। আজ বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘক্ষণ সওয়াল জবাব চলে আদালতে। সবপক্ষের বক্তব্যে শুনে রুজিরাকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ জানায় আদালত।

পাতিয়ালা কোর্টেই তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেদিন ইডির তরফেও রুজিরার বিরুদ্ধে কি প্রমাণ তাঁদের কাছে রয়েছে সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জমা দেওয়া হবে। এমনটাই জানা গিয়েছে। এই নির্দেশ সামনে আসার পরেই কার্যত নয়া বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

উল্লেখ্য, কয়লা পাচার-কাণ্ডে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় দুই তদন্তকারী সংস্থা। একদিকে তদন্ত করছে এনফোর্সমেণ্ট ডিরেক্টরেট এবং অন্যদিকে এই মামলার আর্থিক কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত বিষয়টি দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বিধানসভা ভোটের আগেই কয়লা কাণ্ডে শান্তিনিকেতন অর্থাত্‍ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে রুজিরাকে জেরা করে সিবিআই। এমনকি রুজিরার বেশ কয়েকজন আত্মীয়কেও জেরা করা হয়।

আরও পড়ুন : মদন আছেন কোথায়, বুথে না বিছানায়? প্রার্থী ও এজেন্ট ভিন্নমত!‌

আর এই অবস্থায় গত কয়েকদিন আগেই অভিষেক এবং রুজিরাকে জেরা করতে দিল্লিতে তলব করে ইডি। কিন্তু অভিষেক হাজিরা দিলেও রুজিরা এখনও দেননি। অভিযোগ, বারবার সমন জারি করলেও ইডি-র দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন না। এই অভিযোগে দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি।

ইডির আবেদনের প্রেক্ষিতে রুজিরাকে ৩০ সেপ্টেম্বর সশরীরে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। সেই মামলারই শুনানি হয় দিল্লি পাতিয়ালি কোর্টে।

মামলার শুনানিতে ভার্চুয়ালের মাধ্ম্যে হাজিরা দেন রুজিরা। মামলার শুনানিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতি চলছে। ফলে এই মুহূর্তে তাঁর কলকাতা ছাড়া সম্ভব নয় বলে আদালতে জানান রুজিরা। কারণ হিসাবে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালতকে জানান, তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। সেদিকে তাকিয়ে আদালত তাঁকে যেন অনলাইন মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার অনুমতি দেয়।

আরও পড়ুন : ‘দলের ভাঙন সামলান’, বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ সুকান্তকে

তাঁর আইনজীবীও এই বিষয়েও আদালতের কাছে আবেদন রাখেন। যদিও ইডির তরফে আইনজীবীরা এহেন আবেদনের তীব্র বিরোধীতা করে। তাঁরা পাল্টা আদালতকে জানায়, যে দিন প্রথম সমন জারি হয়, সে দিন রুজিরা দিল্লিতেই ছিলেন। সেই সংক্রান্ত প্রমাণও তাঁদের কাছে আছে বলে দাবি ইডির আইনজীবীর।

না থেমে শুনানিতে ইডি তরফে আরও বলা হয় যে, আদালত তাঁকে সশরীরে হাজিরা দিতে বলেছিল। কিন্তু তিনি আদালতের নির্দেশ অগ্রাহ্য করেছেন। এই কারণে তাঁর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির দাবি করেন ইডি-র আইনজীবী। এর পরই রুজিরার আইনজীবী আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করেন।

সবপক্ষের বক্তব্য শুনে রুজিরার আবেদন খারিজ করে দেয় আদলত। পাশাপাশি সশরীরে হাজিরার নির্দেশও দেওয়া হয় রুজিরা বন্দ্যোপাধায়কে।

সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া

আরও পড়ুন ::

Back to top button