দেশ চরম সংকটে, ডুবন্ত বড়ো জাহাজকে বাঁচালে তবেই ছোটো ছোটো তরী বেঁচে থাকবে, বামাদর্শ ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদানের কারণকে সংক্ষেপে এভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় তরুণ নেতা কানহাইয়া কুমার। এখানে ডুবন্ত বড়ো জাহাজ হল কংগ্রেস আর ছোটো ছোটো তরী বা নৌকা বলতে তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আঞ্চলিক দলগুলিকে বুঝিয়েছেন। এবার যোগদানের এক সপ্তাহের মধ্যেই স্বমহিমায় হুংকার দিলেন তিনি। বললেন, “আমি বিজেপিকে ‘টুকরে টুকরে’ করে দেব।”
কানহাইয়া কুমার যে বামপন্থা ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেবেন একথা অনেকেই আন্দাজ করতে পারেননি। এখন সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে কানহাইয়াকে নিয়ে ট্রোল আর মিমে ভরে গেছে। বিশেষ করে বামপন্থী দলের বর্তমান সদস্যদের কানহাইয়ার দলত্যাগ নিয়ে কটাক্ষ শুনতে হচ্ছে সর্বত্র। তবে, কানহাইয়া মনে করছেন তাঁর দলত্যাগের সিদ্ধান্ত একেবারে সঠিক।
আরও পড়ুন : মর্মান্তিক! গুজরাটে বহুতলের ৯ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু দু বছরের শিশুর
কারণ, চব্বিশের লোকসভায় মোদী সরকারকে হারাতে কংগ্রেসকেই উপযুক্ত বলে মনে করছেন তিনি। রাজনৈতিক মহল থেকে প্রশান্ত কিশোর সকলেই যদিও সে রকমই মনে করছে। কংগ্রেসই একমাত্র এমন দল যারা দেশের সর্বত্র বিরাজমান এবং ইতিহাসে যাদের শিকড় অনেক গভীরে। তবে, নেতৃত্ব সংকট ও দলের অভ্যন্তরের গোষ্ঠী কোন্দল কংগ্রেসের প্রধান সমস্যা।
আগে থেকেই কানহাইয়াকে ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ বলা হত বিজেপি’র পক্ষ থেকে। যার অর্থ ছিল দেশকে ভাঙতে চাইছেন কানহাইয়া। দেশ বিরোধী মন্তব্যের জেরে কানহাইয়া জেলও খেটেছেন। এবার বিজেপি’র বক্তব্যকেই তাঁদের ফিরিয়ে দিলেন তিনি। কানহাইয়া বললেন, “আমি বিজেপিকে ‘টুকরে টুকরে’ করে দেব। ওঁরা নাথুরাম গডসেকে জাতির জনক মনে করে।
কিন্তু এ দেশ গান্ধীর আদর্শ আর ভগত সিংয়ের সাহসের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছে।” প্রকৃত দেশ বিরোধী হিসেবে তিনি বিজেপিকেই চিহ্নিত করে থাকেন বারবার। এখন, কানহাইয়ার যোগদান কংগ্রেসের জন্য কতটা লাভবান হয়, সে দিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।
সূত্র: প্রথম কলকাতা