ওপার বাংলা

দশমীতেও বাংলাদেশের মন্দিরে চলল তাণ্ডবলীলা, বেধড়ক মার ভক্তদেরও

দশমীতেও বাংলাদেশের মন্দিরে চলল তাণ্ডবলীলা, বেধড়ক মার ভক্তদেরও - West Bengal News 24

দশমীতেও (Dashami) পার পেল না বাংলাদেশের মন্দির (Bangladesh Temple)। নোয়াখালির ইসকন মন্দিরে (ISKCON Temple) তাণ্ডবলীলা চালালো দুষ্কৃতিরা। মন্দিরের কিছু জিনিসে আগুন লাগানোর অভিযোগ তুলেছেন ইসকন কর্তৃপক্ষ। এমনকি মন্দিরে উপস্থিত ভক্তদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ইসকন মুখপাত্র।

জানা গিয়েছে, নোয়াখালির চৌমুহনীতে প্রায় ৫০০ জন দুষ্কৃতী মন্দিরে হামলা চালিয়েছে। হামলার নের্তৃত্ব দিয়েছেন নাকি আওয়ামীলিগেরই নেতা। হামলায় একজনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে। মৃতের নাম জতন কুমার সাহা। বিভিন্ন এলাকায় মন্দিরে মন্ডপে হামলার প্রতিবাদে এদিন চট্টগ্রামে হরতালের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খীষ্ট্রান ঐক্য পরিষদ।

এই ঘটনার পরে ইসকন টুইট করে জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশের নোয়াখালিতে ইসকন মন্দির এবং ভক্তদের উপর একটি হিংস্র হামলা হয়েছে। এই হামলায় মন্দিরের ক্ষতি হয়েছে। এবং একজন ভক্তের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা সকল হিন্দুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

আরও পড়ুন : প্রেমিকের অশ্লীল ভাষায় গালাগালি সইতে না পেরে তরুণীর আত্মহত্যার অভিযোগ

প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত কুমিল্লার একটি পুজো প্যাণ্ডালকে কেন্দ্র করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কুমিল্লার ওই পুজো কমিটির বিরুদ্ধে কোরানের অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারপরই ওই পুজো মণ্ডপে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের পুলিশ। স্থানীয় প্রতিবেদগুলিতে বলা হয়েছে বাংলাদেশের দূর্গাপুজো প্যাণ্ডালে হামলার ঘটনায় কংপক্ষে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।

কুমিল্লার হিংসার ঘটনার পরই চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ চট্টগ্রাম ও বাংশখালি ও কক্সবাজারের পেকুয়া মন্দির এলাকাতে ভাঙচুর ও তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ প্রশাসন জানিয়েছে, যেসব এলাকায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

সুত্র : এশিয়া নেট

আরও পড়ুন ::

Back to top button