ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সমুদ্রাঞ্চলে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা চুক্তি – ‘‘বাংলাদেশ আমাদের বৃহত্তম উন্নয়ন-সঙ্গী, মন্তব্য মোদীর
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
ভারত , বাংলাদেশ – দু’দেশের রাষ্ট্রনেতা এবং প্রতিনিধিদের এই বৈঠকে চূড়ান্ত হল একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির রূপরেখা। তার মধ্যে অন্যতম , ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সমুদ্রাঞ্চলে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা চুক্তি। সে প্রসঙ্গের উল্লেখ করে হাসিনাকে ধন্যবাদ জানালেন মোদী। বললেন, ‘‘এই সমুদ্র সহযোগিতার মাধ্যমে নীল অর্থনীতির পথে একসঙ্গে চলবে দুই দেশ।’’
শনিবার নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সংক্রান্ত যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে দুই রাষ্ট্রপ্রধান জানান, ভারত এবং বাংলাদেশ একটি সার্বিক অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তিতে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মোদী মন্তব্য, ‘‘বাংলাদেশ আমাদের বৃহত্তম উন্নয়ন-সঙ্গী। তাদের স্বার্থকে ভারত সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।’’
মোদীর আমন্ত্রণে শুক্রবার হাসিনা-সহ বাংলাদেশের সরকারি প্রতিনিধিদল দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লি পৌঁছয়। হাসিনার সফরসঙ্গী হিসাবে এ বার দিল্লিতে এসেছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ‘অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ’ মহম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সলমন ফজলুর রহমান, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম, মুখ্য সচিব মহম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিঞা, বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামিম-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা।
শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে ছিল আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা কর্মসূচি। সেখানে হাসিনা এবং তাঁর সফরসঙ্গীদের স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন মোদী। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অশ্বারোহী দেহরক্ষী বাহিনী ভবনের বাইরের ফটক থেকে হাসিনার কনভয়কে নিয়ে যায় ভিতরে।
এর পর ভারতীয় সেনার তিন শাখার তরফে দেওয়া হয় আনুষ্ঠানিক ‘গার্ড অফ অনার’। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পরে হাসিনারা রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থলে গিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। এর পরে হায়দরাবাদ হাউসে মোদী-হাসিনার বৈঠক হয়। আঞ্চলিক সমুদ্রপথের নিরাপত্তায় এই দ্বিপাক্ষিক চুক্তি।