মমতা বলেছিলেন আপাতত ছোট রাজ্যেই সংগঠন বাড়ানোর দিকে নজর দেবে তৃণমূল। বড় রাজ্যে নয়। ছোট রাজ্যে কাজটা অবশ্য আগেই শুরু করে দিয়েছে দল। অসম, ত্রিপুরা, মণিপুর তার পর গোয়া। কিন্তু সেখানেই আর সীমাবদ্ধ থাকতে চাইছে না মমতার দল। এবার নজর দিচ্ছে উত্তরপ্রদেশেও। ছটপুজোর পর যোগীর রাজ্যে যাচ্ছেন মমতা। তার আগমনের আগে সে রাজ্যে একাধিক শহরে অফিস খুলেছে তৃণমূল।
জানা গিয়েছে, আপাতত শুধু বারণসীই যাবেন মমতা। সেখানে অধিবাসীদের একটা বড় অংশ বাঙালি। এই বাঙালিদের মধ্যে মমতা দারুণ জনপ্রিয়। সেটাই কাজে লাগাতে চাইছেন মমতা। বারাণসীতে গিয়ে বাঙালিদের এই সেন্টিমেন্ট খুঁচিয়ে তুলতে চান তিনি। খবর, বারাণসীতে গিয়ে বাঙালিদের সঙ্গে কথা বলবেন। জনসভাও করবেন। মমতার বারাণসীতে আসার আগে সেখানে অফিস খুলতে চলেছে তৃণমূল। এর নেপথ্যে থাকছেন সেখানকার বাঙালিরা।
আরও পড়ুন : ‘গোরুর গাড়িতে হেডলাইট, আর স্যান্ডো গেঞ্জিতে বুক পকেট লাগলেই মমতা সেদিন প্রধানমন্ত্রী হবেন’
উত্তরপ্রদেশের বরেলি, মোরাদাবাদ, আলিগড়, আগ্রা, গোরক্ষপুর, আজমগড়, মির্জাপুর, এলাহাবাদে এর মধ্যেই দলীয় অফিস খোলা হয়েছে তৃণমূলের। আর লখনউতে দীর্ঘ দিন ধরেই একটা দলীয় কার্যালয় আছে। এবার আরও শহরে সংগঠন বাড়ানোই লক্ষ্য। উত্তর প্রদেশের তৃণমূল নেতা নীরজ রাই জানাচ্ছেন, ‘আমরা উত্সাহিত কর্মীরা দলীয় কার্যালয় খুলেছি।
বাংলার ভোটে বিজেপিকে পরাস্ত করার পরে উত্তরপ্রদেশেও মানুষ উত্সাহিত হয়েছেন। তাই আমরা এখানে দলীয় কার্যালয় খুলেছি।’ এবার দেখা যাক, উত্তরপ্রদেশে আসন্ন ভোটে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তৃণমূল।
সুত্র : আজকাল