জাতীয়

কনকনে ঠাণ্ডাতে লাদাখে বাড়ছে উত্তাপ, নতুন করে শক্তি বাড়াচ্ছে চিনা ফৌজ

কনকনে ঠাণ্ডাতে লাদাখে বাড়ছে উত্তাপ, নতুন করে শক্তি বাড়াচ্ছে চিনা ফৌজ - West Bengal News 24

শীত পড়ছে লাদাখে (Ladakh)। প্রায় ১৪,৫০০ ফুট উচ্চতায় পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শীতকাল মানে হাড়হিম ঠান্ডা। এমন প্রতিকূল পরিবেশে চিনের সেনা ফের অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাতে পারে এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেনা সূত্র বলছে, লাদাখ সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছে চিন।

যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করা হচ্ছে। শীতের মরসুমে মাইনাস ২০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যায় পূর্ব লাদাখের তাপমাত্রা। প্রতি বছরই শীত আসার আগে প্রস্তুতি চলে সেনাবাহিনীতে। গত বছর মে মাস থেকে প্যাঙ্গং লেক, গালওয়ান উপত্যকা-সহ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় আগ্রাসন শুরু করে চিনা বাহিনী। ভারতও প্রচুর সেনা মোতায়েন করে। ১৫ জুন গালওয়ানে ঘটে যায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। তার পর কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে বৈঠকের পর বৈঠকে উত্তেজনা কিছুটা স্তিমিত হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি।

দফায় দফায় সামরিক স্তরে বৈঠকের পরেও শান্তি চুক্তি ভেঙে নতুন করে সেনা মোতায়েন করে চিন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ছোট ছোট ঘর তুলতেও দেখা যায় চিনের লাল সেনাকে। ভারতীয় সেনা সূত্র বলছে, চিন যে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে সে সন্দহ বরাবরই ছিল। সবরকম পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য তৈরি রয়েছে ভারতীয় বাহিনী। এর আগেও সেনা সরিয়ে নেওয়ার নাম করে, লাদাখের অন্যান্য স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে নতুন করে সেনা মোতায়েন করতে শুরু করেছিল চিন।

আরও পড়ুন : বিশ্বের সবথেকে দূষিত ১০ শহরের মধ্যে আছে ভারতের ৩, তালিকায় কলকাতাও

আন্তর্জাতিক সীমান্ত চুক্তি মাফিক কোনও দেশের সেনাই বেআইনিভাবে সীমান্ত পার হতে পারে না। আঞ্চলিক সীমান্তগুলির সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য চুক্তিবদ্ধ দুই দেশই। কিন্তু চিনের বাহিনী সে চুক্তি বারে বারেই লঙ্ঘণ করেছে। গালওয়ানের সংঘাত তার অন্যতম বড় প্রমাণ। সেনা ঢুকিয়ে জোরজবরদস্তি আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা সম্ভব নয় বুঝেই চিন ঘুরপথে একটু একটু করে সীমান্তে তাদের শক্তি বাড়িয়ে চলেছে।

ভারতের সীমান্ত বারবর এমন অনেক জনপদ তৈরি করে রেখেছে চিন, যেখানে সেনাদের বসবাস করা ও যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন রাখার মতো ব্যবস্থা রয়েছে। সেনা সূত্র বলছে, গত ১০ দিনে দুবার সীমান্ত চুক্তি ভেঙেছে চিন। ভারতীয় নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ফের অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। এমনকি রাইফেল ডিভিশনও মোতায়েন করতে দেখা গেছে চিনের বাহিনীকে। ইদানীং তারা কে-৯ বজ্র ট্যাঙ্ক মোতায়েন করছে সীমান্তে। কারাকোরাম পাসের ৩০ কিলোমিটার পূর্বে সমর লুঙ্গপায় ছোট ছোট ঘর তুলছে চিনা বাহিনী।

রেচিন লা-র দক্ষিণে সাজুন পাহাড়ের কাছেও এমন নির্মাণকাজ দেখা গিয়েছে। এই সাজুন পাহাড়ের কাছে আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে। তাই মনে করা হচ্ছে, ভবিষ্যতের কথা ভেবেই চিনা ফৌজ তাদের প্রস্তুতি সেরে রাখছে। সেনাপ্রধান বলছেন ভারতও পিছিয়ে নেই। চিনের সামরিক কাঠামোর পাল্টা প্রস্তুতি ভারতও সেরে রেখেছে।

যুদ্ধট্যাঙ্ক, দূরপাল্লার মিসাইল মোতায়েন করা আছে লাদাখ সীমান্তে। প্যাঙ্গং লেকের পাহাড়ি এলাকায় পাহাড়া দিচ্ছে দুর্ধর্ষ স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স। সতর্ক রয়েছে বায়ুসেনাও। দিনেরাতে সীমান্ত পাহারার জন্য সশস্ত্র ড্রোনও তৈরি আছে সীমান্তে।

সুত্র : দ্য ওয়াল

আরও পড়ুন ::

Back to top button