অবশেষে টি-টোয়েন্টির সেরা শিরোপা অস্ট্রেলিয়ার
নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নের মুকুট পড়ল অস্ট্রেলিয়া।
দুবাইয়ে রবিবার ১৭৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৮ উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নেয় অজিরা। মিচেল মার্শ ৫০ বলে ৭৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে কিউই বোলারদের কোনো প্রতিরোধই গড়তে দেননি।
ওয়ানডে ক্রিকেটে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হলেও টি-টোয়েন্টিতে আগে কখনো শিরোপা পাওয়া হয়নি অজিদের। ২০০৭ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত মোট ৬ আসরে একবারই ফাইনালে উঠেছিল দলটি। ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত সেই আসরে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে রানার্সআপেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় মাইকেল ক্লার্কের দলকে।
অবশেষে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজিত এবারের আসরে অস্ট্রেলিয়ানদের প্রতীক্ষার অবসান হলো। ২০২২ সালে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে নামবে তারা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এদিন ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে (৫) হারায় অজিরা। তবে এরপর উইকেটে এসে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে দারুণ এক জুটি উপহার দেন মিচেল মার্শ। দুজনই ছিলেন দুর্দান্ত এবং ৫৯ বলে ৯২ রানের জুটিতে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেন।
ওয়ার্নার ট্রেন্ট বোল্টের করা ১৩তম ওভারে ফেরেন। ৩৮ বলে ৫৩ রান করে তিনি ৪ চার ও ৩ ছক্কায়। তবে থামেননি মার্শ। যদিও ব্যক্তিগত ৬৮ রানে থাকা অবস্থায় মার্শের ক্যাচ পড়ে। তবে ততক্ষণে ১৯ বলে মাত্র ১৫ রান প্রয়োজন ছিল অজিদের।
শেষ পর্যন্ত মার্শ তার ইনিংস সাজিয়েছেন ৬ চার ও ৪ ছক্কায়। তার সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৩৯ বলে ৬৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি উপহার দেওয়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ১৮ বলে ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ড কেন উইলিয়ামসনের ৪৮ বলে ৮৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৪ উইকেটে ১৭২ রানের পুঁজি গড়ে। কিন্তু সেই রান শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট হলো না। সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টির ফাইনালে উঠেও হতাশায় পুড়তে হলো কিউইদের।
ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন মিচেল মার্শ। টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড ১৭২-৪ (২০ ওভার): উইলিয়ামসন ৮৫ (৪৮), হ্যাজলউড ৩-১৬
অস্ট্রেলিয়া ১৭৩-২ (১৮.৫ ওভার): মার্শ ৭৭* (৫০), ওয়ার্নার ৫৩ (৩৮)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী।