বেনজির ঘটনার সাক্ষী বাংলা। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে আজই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ব্লক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা ঘোষণার পরেই টুইট করেন রাজ্যপাল। সেই টুইটে তিনি লিখেন, ‘সাংবিধানিক নিয়ম-নীতি ও আইনের শাসনকে ব্লক করা যায় না।
সংবিধানের ১৫৯ অনুচ্ছেদে এটা বলা আছে। দেশের সংবিধানের উপর আস্থা রাখা উচিত দায়িত্বপ্রাপ্তদের।’
রাজ্যপালেরটুইটে আগে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে বলেছিলেন যে, ‘আমি আজ বাধ্য হয়ে একটা কাজ করেছি। উনি প্রতিদিন টুইট করে কখনও অফিসারদের গালি দেন, কখনও আমাকে গালি দেন। অসাংবিধানিক ও অবৈধ কথাবার্তা বলেন উনি।’সুর চড়িয়েই মমতা বলেন, ‘ওঁর নির্দেশ মতো আমাদের চলতে হবে।
উনি মনোনীত হয়েও সবার মাথার উপরে সুপার পাহারাদার হয়ে গেছেন। আমি বাধ্য হয়েছি আমার টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ওঁকে ব্লক করে দিতে। ওঁর টুইটগুলো দেখে প্রতিদিন আমার ইরিটেশন হতো।’
আরও পড়ুন: তৃণমূলকে ভোট না দিলে শুরু হবে ‘দুয়ারে প্রহার’: তৃণমূল বিধায়ক
গত আড়াই বছর ধরে রাজভবন-নবান্ন সংঘাত তুঙ্গে। প্রায় নিয়ম করেই টুইটে মমতাসরকারকে নিশানা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এ দিনের ভি,য়টি অবশ্য সেই সংঘাতে অন্যমাত্রা যোগ করে। মমতা-ধনকড় টুইট ঘিরে যখন চর্চা তুঙ্গে তখন এ দিন সন্ধ্যা ফের একটি টুইট করেন রাজ্যপাল।
লেখেন, ‘সোমবার সকাল১ ০.২৫ নাগাদ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেছিলেন। সেই মেসেজ দেখেছেন তিনি। সাংবিধানিক কর্মকর্তাদের মধ্যে সংলাপ এবং সম্প্রীতি গণতন্ত্রের সারমর্ম ও চেতনা এবং সংবিধানের আদেশ। এটি পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং এটির প্রকাশ শ্রদ্ধার সঙ্গেই ঘটতে পারে।’
“There has been all through highest personal regard for you from my side.
Am sure this will receive your thoughtful consideration.
Regards. 2/2”— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) January 31, 2022
এরপরই জগদীপ ধনকড় লেখেন, ‘আমার পক্ষ থেকে আপনার জন্য (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা রয়েছে। আমি নিশ্চিত যে এটি আপনার চিন্তাশীল বিবেচনা গ্রহণ করবে। শুভেচ্ছা।’
মমতাকে নিশানা করে সুর চড়িয়েও কেন হঠাত্ নমনীয় টুইট রাজ্যপালের? নাকি মুখ্যমন্ত্রী প্রতি তাঁর শ্রদ্ধার বিষয়টি উল্লেখ করে বার্তা দিতে চাইলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান?