পাঁচ বছর ধরে চলছিল দাম্পত্য কলহ
দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ধানুশ। কিংবদন্তি অভিনেতা রজনীকান্তের বড় মেয়ে ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে ২০০৪ সালে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হোন। কিন্তু সম্প্রতি এ দম্পতি হঠাৎ করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় যৌথ এক বিবৃতিতে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে ১৮ বছরের সংসার ইতি টানেন।
তাঁদের বিচ্ছেদের ঘটনায় ভক্তরা হতবাক হলেও দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি নাকি একদমই অবাক হয়নি। জানা গেছে, গত পাঁচ বছর ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিল ধানুশ-ঐশ্বরিয়ার।
দুজনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছে, পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে ধানুশ-ঐশ্বরিয়ার দাম্পত্যজীবনে টানাপড়েন চলছিল।
ধানুশ সিনেমার শুটিং নিয়ে খুব বেশি ব্যস্ত থাকতেন, পরিবারকে ঠিকমতো সময় দিতে পারতেন না। বিষয়টি নিয়ে ঐশ্বরিয়া অনেকদিন থেকেই অভিযোগ জানিয়ে আসছিল।
ঝগড়া ঝামেলা থেকে অব্যাহতি পেতে ধানুশ আরো বেশি বেশি সিনেমার কাজ হাতে নিয়ে বেশিরভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। এ নিয়ে তাদের সমস্যা বাড়তেই থাকে।
গত কয়েক বছর ধরে ধানুশের সঙ্গে স্ত্রীর মতের মিল হচ্ছিল না। যার পরিণতি এই ডিভোর্স।
আরও পড়ুন: ‘নিষিদ্ধ প্রেম ও কাম’ নিয়ে ৫ বলিউড সিনেমার কথা
অনেকের মতে, ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া বিচ্ছেদের ঘোষণা করতে অনেকটা সময় নিয়েছেন, কারণ তাঁরা হয়তো সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টাই করছিলেন।
২০০০ সালে রজনীকান্ত-কন্যার সঙ্গে প্রথম দেখা হয় ধানুশের। তখন ঐশ্বরিয়ার বয়স ছিল ২৩, আর ধানুশের বয়স ছিল ২১। এরপর ২০০৪ সালে ধুমধাম করে ধানুশের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার বিয়ে দেন রজনীকান্ত।
বিচ্ছেদের পরে রজনীকান্তের কন্যা পেশাদার জগতে মনোনিবেশ করেছেন। বর্তমানে তিনি অঙ্কিত তিওয়ারির সঙ্গে একটি মিউজিক ভিডিও নিয়ে ব্যস্ত।
এ দিকে, সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ধানুশের সিনেমা ‘আতরাঙ্গি রে’। বক্স অফিসে ভালো সাড়া পেয়েছে সিনেমাটি।
ধানুশ-ঐশ্বরিয়ার দুই ছেলে— যাত্রা ও লিঙ্গা। ২০০৬ সালে বড় ছেলের জন্ম হয়। দ্বিতীয় সন্তান পৃথিবীতে আসে ২০১০ সালে।