খোলামেলা দৃশ্য নিয়ে সরব ছিলেন স্মিতা
বলিউড সিনেমা ব্যবসা বিশ্বের জনপ্রিয় ও বৃহত্তম সিনে ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে একটি। যা বছরে বেশ কয়েকটি সিনেমা মুক্তি দেয়। যদিও সেগুলোর অনেক সমস্যা রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত সমস্যা হলো নারীদের পণ্য হিসেবে উপস্থাপন। অনেক সেলিব্রেটি অতীতে এটি সম্পর্কে কথা বলেছেন, প্রয়াত অভিনেত্রী স্মিতা পাতিলও(Smita Patil) একবার এ বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছিলেন।
স্মিতাকে তার সময়ের সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রীদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যদিও তার ক্যারিয়ার মাত্র এক দশকজুড়ে ছিল। এ স্বল্প সময়েই তিনি হিন্দি, বাংলা, মারাঠি, গুজরাটি, মালায়ালাম এবং কন্নড় ভাষার প্রায় ৮০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
শুধু তাই নয়, চলচ্চিত্র ছাড়াও স্মিতা পাতিল (Smita Patil) একজন সক্রিয় নারীবাদী এবং মুম্বাইয়ের মহিলা কেন্দ্রের সদস্য ছিলেন। প্রয়াত এ অভিনেত্রী নারীদের অগ্রগতির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন এবং প্রথাগত ভারতীয় সমাজে নারীদের ভূমিকা, তাদের যৌনতা এবং শহুরে প্রেক্ষাপটে মধ্যবিত্ত নারীর সংগ্রাম নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে উৎসাহিত করতেন।
আরও পড়ুন :: শুধু জ্যাকুলিন নয়, সুকেশের ফাঁদে আরও ৩ নায়িকা
একটি পুরানো সাক্ষাৎকারে, স্মিতাকে তার ১৯৮১ সালের চলচ্চিত্র ‘চক্র’র একটি অর্ধনগ্ন পোস্টার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। পোস্টারে তাকে জনসমক্ষে স্নান করতে দেখা যায়। এ বিষয়ে তিনি জানান, বিষয়টা যদি তার হাতে থাকতো তাহলে কখনোই এমনটা হতো না।
স্মিতা পাতিল বলেন, হিন্দুস্তানের দর্শকদের ওপর জোর করে সিনেমার যৌনতা চাপানো হয়। তাদের বোঝানো হয় যে এ সিনেমায় মহিলাদের অর্ধ-নগ্ন শরীর দেখানো হয়েছে। এই ধারণা খুবই অনৈতিক। নায়ককে কখনো নগ্ন অবস্থায় দেখাবেন না তারা, তাদের মতে নায়িকাকে এভাবে দেখালে ১০০ মানুষ বেশি আসবে সিনেমা হলে।
১৯৭৪ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত একাধারে সফল অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করেছেন স্মিতা পাতিল। বলিউডের আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা রাজ বাব্বারকে ভালোবেসে বিয়ে করেন স্মিতা। রাজের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন স্মিতা। তাদের ঘরে জন্ম নেয় পুত্র সন্তান প্রতীক বাব্বার। সন্তান জন্মদানের দুই সপ্তাহ পর জন্মসংক্রান্ত জটিলতায় মারা যান স্মিতা পাতিল।