মাঝরাতে স্বামীর শিরচ্ছেদ মহিলার!
ত্রিপুরার খোয়াই জেলায়, শনিবার ভোররাতে এক মহিলা তার ৫০ বছর বয়সী স্বামীর শিরচ্ছেদ করেন এবং রক্তে ভেজা মাথাটি একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে পারিবারিক মন্দিরে রেখে দেন। এক পুলিশ আধিকারিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
খোয়াইয়ের পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী বলেন, “খুনের কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি, দম্পতির বড় ছেলে জানান, তার মা সম্প্রতি মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং স্থানীয় এক তান্ত্রিকের কাছে তার চিকিত্সা করা হয়েছিল।”
জেলার ইন্দিরা কলোনি গ্রামের বাড়ি থেকে ৪২ বছর বয়সী এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সেখানে স্বামী রবীন্দ্র তাঁতী ও দুই নাবালক ছেলেকে নিয়ে থাকতেন তিনি। রবীন্দ্র ছিলেন একজন দিনমজুর শ্রমিক।
আরও পড়ুন: পাঞ্জাবে সাফল্যের পর কেজরির নজর এবার গুজরাতে
মহিলার বড় ছেলে বলেন, আমার মা বরাবরই নিরামিষভোজী। কিন্তু গত রাতে তিনি মুরগি খান এবং আমরা সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাত্ ঘুম ভেঙে দেখি বাবার শিরশ্ছেদ করা।
আমার মাকে রক্ত মাখা দাউ (একটি ধারালো অস্ত্র) নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আমি হতবাক। যখন আমরা একটি অ্যালার্ম তুললাম, তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের মন্দিরে আমার বাবার মাথা রাখলেন।
এসপি বলেন, ‘এর পর সে নিজেকে একটি ঘরে বন্দী করে রাখে, যেখান থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। আমরা দেহ উদ্ধার করে ওই নারীকে আটক করেছি। তদন্ত শুরু হয়েছে।’
তিনি বলেন, “ফরেনসিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে। ” অভিযুক্তের মানসিক অসুস্থতার বিষয়ে চক্রবর্তী বলেন, “চিকিত্সকের রিপোর্ট ছাড়া এ বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না।”