Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
স্বাস্থ্য

অফিসে আধ-ঘণ্টার ঘুম বাধ্যতামূলক!

অফিসে আধ-ঘণ্টার ঘুম বাধ্যতামূলক! - West Bengal News 24

করোনা মহামারীর প্রভাব প্রায় শেষ। ফের চালু হয়েছে অফিস, স্কুল, শপিংমল- সব কিছুই। ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে মানুষ। দীর্ঘ ওয়ার্ক ফ্রম হোম কাটিয়ে অফিস শুরু হয়েছে। টানা দু’বছর বাড়ি থেকে কাজ করার ফলে বদলে গেছে অনেক কিছুই। ক্লান্তি ভাবও বেড়েছে। এই অবস্থায় অফিসে যদি কাজের ফাঁকে একটু ঘুমিয়ে নেয়া যেত! তাহলে মন্দ হতো না! কিন্তু এমন সুযোগ দেবে কে?

অফিসে কাজের জন্য বেতন দেয়। ঘুমের জন্য নয়। ফলে অফিসে একটু ঘুমিয়ে নেয়ার কথা চিন্তা করা তো দিবা স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই না। তবে জানেন কি দিবা স্বপ্ন মাঝে মধ্যে সত্যি হয়ে যায়? কারণ নিয়ম তো মানুষেরই হাতে। চাইলে বদলাতে কতক্ষণই বা সময় লাগবে। হ্যাঁ, এবার অফিসে ঘুমোনোর জন্যেও পাওয়া যাবে বেতন। কাজের ফাঁকে চাইলে ঘুমিয়ে নিতে পারবেন।

এমনটাই জানালো বেঙ্গালুরুর এক বেসরকারি কোম্পানি। বেঙ্গালুরুর এই অফিসে চালু হল কম করে আধঘণ্টার ঘুম বাধ্যতামূলক। সকল কর্মীর জন্য। প্রত্যেক কর্মীকে ই-মেইলের মাধ্যমে এই নোটিস জারি করা হয়েছে। সকলকে কম করে আধ ঘণ্টা অফিসে ঘুমাতেই হবে। সেই ঘুমানোর জন্য টাকাও পাবেন কর্মীরা। এত মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি!

‘ওয়েকফিট’-এর কো ফাউন্ডার চৈতন্য রামালিঙ্গেগোয়া বৃহস্পতিবার অফিসিয়ালি ইমেলের মাধ্যমে এই নোটিস জারি করেছেন তার অফিসে। তিনি ই-মেইলে লেখেন, ‘আমরা দীর্ঘ ছয় বছর ধরে মানুষের ঘুমের সামগ্রী বিক্রি করে ব্যবসা করছি। অথচ নিজেরাই ঘুমের সঙ্গে সঠিক বিচার করতে পারছি না। সকলের একটু রেস্ট দরকার।

সেই কথা ভেবেই আফটার নুন ন্যাপ চালু করার কথা অনেক দিন ধরেই চলছিল। এবার বিষয়টাকে সিরিয়াসলি নিতে হবে। আজ থেকেই কম করে ৩০ মিনিটের ঘুম বা ন্যাপ নিতে হবে সকলকে। কাজের মাঝে একটু ঘুম দরকার। এতে শরীর মন ভালো থাকবে। কাজ ভালো হবে।’

বালিশ, মেট্রেস, এই ধরণের জিনিসই পাওয়া যায় ওয়েকফিটে। সব কিছু তৈরি হয় ভালো ঘুমের কথা মাথায় রেখে। এবার তারা নিজেদের অফিসেই চালু করল এই নিয়ম। এই খবর শেয়ার হতেই প্রশংসা শুরু করেছেন নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন, ‘আমিও ঠিক এটাই চাইছিলাম। ওয়েকফিট আমার মনের কথা জেনে গেছে।’ কেউ বলেছেন, ‘এমনটা সব অফিসেই করা উচিত।’

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button