বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিচারিকার সঙ্গে অপকর্ম!
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণ। মহিলা গর্ভবতী হলে পেটে লাথি মেরে গর্ভপাতের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি বর্ধমানের কাটোয়ার।
জানা গিয়েছে, এখানে গৃহপরিচারিকাকে বিয়ের অজুহাতে ধর্ষণ, পরে তার প্রভাব খাটিয়ে তাকে খুনের হুমকি দিয়ে মহিলাটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে গর্ভবতী মহিলাকে পুঁতে দেওয়া হয়।
স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে লাথি মেরে গর্ভপাতের অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল নেতা দিলীপ দেবনাথের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সামনে আসার পরই তোলপাড় শুরু হয়েছে কাটোয়ায়।
তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই নেতা পলাতক রয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে বিজেপি নেতা রথীদ্রনাথ ঘোষ ফেসবুকে পোস্ট করে অভিযোগ করেছেন রাজ্যের মহিলারা অনিরাপদ।
ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার শাস্তির দাবীতে এলাকায় একের পর এক পোস্টার লাগানো হয়েছে এবং অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতার শাস্তির দাবীতে মিছিল বের করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করছিলেন এক মহিলা। নেতার স্ত্রী অসুস্থ বলে অভিযোগ। সে পরিচারিকাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করতেন।
বিয়ের অজুহাতে পরিচারিকাকে ধর্ষণ করতেন বলে অভিযোগ। ওই নারী ঘটনাটি পরিবারকে জানালে অভিযুক্ত নেতা তাকে খুনের হুমকি দেন। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের কারণে ওই নারী সাড়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
এরপর তিনি বিষয়টি অভিযুক্তকে জানান। তখন সে তার পেটে লাথি মেরে ভ্রূণ নষ্ট করে দেয়। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের সবাই পুরো ঘটনা খুলে বলেন।
এরপর চলতি মাসের ২ তারিখ কাটোয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তার পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কাটোয়া থানার পুলিশ।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নেতার স্ত্রী। তিনি বলেন, “আমার স্বামীকে ফাঁসানো হচ্ছে।” এই প্রসঙ্গে তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিকাশ চৌধুরী বলেন, “ঘটনা ঘটেছে কিনা তা বলতে পারব না, তবে তিনি তৃণমূল নেতা নন।” অন্যদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি সীমা ভট্টাচার্য বলেন, “শাসক দল তাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না এবং এটি তৃণমূলের সংস্কৃতি।
কাটোয়ার পানু ঘাটে মণ্ডল হাটের দায়িত্বে রয়েছেন তৃণমূল নেতা দিলীপ দেবনাথ। গত নির্বাচনেও তাকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। এখন তৃণমূল তাদের এড়িয়ে চলছে।”