কবি হেমচন্দ্র বাগচীর ১১৮তম জন্মজয়ন্তী
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ (শনিবার) কৃষ্ণনগরে ‘কবি হেমচন্দ্র বাগচী স্মৃতি রক্ষা সমিতি’-র উদ্যোগে কবি হেমচন্দ্র বাগচীর ১১৮তম জন্মজয়ন্তী পালন করা হল। নজরুল স্মৃতিধন্য কৃষ্ণনগরের গ্রেস কটেজে ‘শ্রদ্ধা-স্মরণ কবি হেমচন্দ্র বাগচী’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বহু বিশিষ্ট মানুষের উপস্থিতিতে কবিকে স্মরণ অনুষ্ঠান বিশেষ মাত্রা পায়।
স্বাগত ভাষণে কবি হেমচন্দ্র বাগচী স্মৃতি রক্ষা সমিতির সম্পাদক দীপাঞ্জন দে সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে কবির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন এবং স্মৃতি রক্ষা সমিতির কার্যাবলীর কথা সংক্ষেপে তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের সূচনায় গ্রেস কটেজে স্থাপিত নজরুলের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন দেবাশীষ মণ্ডল এবং নজরুল প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন দীপঙ্কর দাস। আর কবি হেমচন্দ্র বাগচীর জীবনপঞ্জি সহ প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন সম্পদনারায়ণ ধর এবং সঞ্জয় রাহা। কবি হেমচন্দ্র বাগচীর গানে সুর বসিয়ে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট গায়ক দীপঙ্কর দাস।
এ দিনের অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন লেখক সতীনাথ ভট্টাচার্য। তিনি কবি হেমচন্দ্র বাগচীর জীবন ও সাহিত্যকর্ম নিয়ে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া উপস্থিত বিশিষ্ট কবি অনুরাগীরা হেমচন্দ্র বাগচীর কবিতা, গান, কবিকে নিয়ে লেখা তাদের স্বরচিত কবিতা পরিবেশনের মাধ্যমে কবির ১১৮তম জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানকে বিশেষ স্মরণীয় করে তোলেন। আর অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন সর্বাণী দত্ত।
গত বছর এই দিনে স্মৃতি রক্ষা সমিতি ‘কবি হেমচন্দ্র বাগচী স্মারক গ্রন্থ’ প্রকাশ করেছিল। স্মারক গ্রন্থটি প্রকাশ করেছিলেন বিশিষ্ট লেখক ড. পার্শ্বনাথ রায়চৌধুরী এবং নদিয়া জেলা পরিষদের সচিব সৌমেন দত্ত মহাশয়। স্মারক গ্রন্থে বহু বিশিষ্ট মানুষের লেখার পাশাপাশি পুরাণ বিশেষজ্ঞ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী শুভেচ্ছা বার্তা ছিল। সেই স্মারক গ্রন্থটিও এদিন প্রদর্শিত হয়।
সবশেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে গিয়ে কবি হেমচন্দ্র বাগচী স্মৃতি রক্ষা সমিতির পক্ষ থেকে সম্পাদক দীপাঞ্জন দে তাদের বিগত বছরের কার্যক্রম সম্পর্কে সকলকে অবহিত করেন। তিনি কবি হেমচন্দ্র বাগচী সম্পর্কে আরও বেশি চর্চার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন এবং সকল কবি অনুরাগীদের আরো ওতপ্রোতভাবে জড়িত হওয়ার আহ্বান জানান।