রাজ্য

অ্যাপ প্রতারণা মামলায় ধৃত আমিরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল মন্ত্রী এবং তৃণমূলের কাউন্সিলরের, চাঞ্চল্যকর দাবি ইডির

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

অ্যাপ প্রতারণা মামলায় ধৃত আমিরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল মন্ত্রী এবং তৃণমূলের কাউন্সিলরের, চাঞ্চল্যকর দাবি ইডির

“বড় বড় ব্যাপার। আমরা এর মধ্যে থাকতে চাই না। ওঁদের বাড়ির দিকে তাকাচ্ছিও না।’’ মেটিয়াবুরুজের পরিবহণ ব্যবসায়ী নিসার আলির ছোট ছেলের আমিরের প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটে শুধুমাত্র এইটুকুই জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।

প্রসঙ্গত, ১০ সেপ্টেম্বর মেটিয়াবুরুজের পরিবহণ ব্যবসায়ী নিসার আলির ছোট ছেলের আমিরের ঘর থেকে ১৭.৩২ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। অ্যাপ প্রতারণা কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত, মেটিয়াবুরুজের বাসিন্দা আমির খানকে শনিবার উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। ধৃত আমিরকে ১৪ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

ঘটনার তদন্তে নেমে ইডি জানতে পারে, আমির কাণ্ডে বন্দর এলাকার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের সঙ্গে আমিরের যোগাযোগ রয়েছে। সেই কাউন্সিলরের এক ভাই রাজ্য মন্ত্রিসভার এক দাপুটে সদস্য। শুধু তাই নয়, আমিরের ১৪৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেনেও উঠে এসেছে ওই তৃণমূল কাউন্সিলরের পরিবারের এক সদস্যের নাম।

আরও পড়ুন :: বিজেপির নবান্ন অভিযান নিয়ে অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্ট, সিবিআই তদন্তের দাবি

এমনকী, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে অ্যাপ প্রতারণা চক্রের লভ্যাংশের একটা মোটা অংশ ওই প্রভাবশালী কাউন্সিলরের মাধ্যমে পৌঁছে যেত ‘উপরে’। এমনটাই দাবি ইডির। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে নিসারকে নিয়েও। অভিযোগ, ১০ সেপ্টেম্বর আমিরের ঘর থেকে ১৭.৩২ কোটি টাকা উদ্ধারের পরে থেকেই নিসার আলির রামনগরের পরিবহণ ব্যবসার অফিসে ঝুলছে তালা।

শাহি আস্তাবল লেনে তাঁর বাড়ির দরজাও প্রায় সব সময় বন্ধ থাকছে। আশপাশের লোকজনও তাদের ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। নিসারের এক ব্যবসায়ী বন্ধু বলেন, ‘‘ টাকা উদ্ধারের ঘটনার পর থেকে নিসার সাহেব আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেননি। আমরাও ওঁকে ফোন করিনি। ওঁদের কোনও খবর আমাদের কাছে নেই।’’

তদন্তকারীদের দাবি, সম্প্রতি পার্থ ও অর্পিতা কাণ্ডে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের পরেই সাবধান হতে শুরু করেছিল আমির এবং শাসক দলের ওই প্রভাবশালী কাউন্সিলরের পরিবারের সদস্য। আর সেইমতো অ্যাপ প্রতারণা চক্রের লভ্যাংশের টাকা নানা জায়গায় গচ্ছিত রাখার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হল শেষমেষ ইডির জালে পড়তে হল আমিরকে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button