ঘনীভূত হচ্ছে নিম্নচাপ, পুজোয় ভাসতে পারে বাংলা
গত দু’বছর দুর্গাপুজোর আনন্দে ভাটা ফেলেছিল করোনা। এবছর অবশ্য করোনার চোখ রাঙানি অনেকটাই কমেছে। কিন্তু এবছর পুজায় বাঙালিকে আনন্দে মেতে উঠতে দেখে আগে থেকেই তা সহ্য হচ্ছে না আবহাওয়ার। তাই পুজোর আনন্দে ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য প্রস্তুত। আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ষষ্ঠীর দিন থেকেই আকাশ মেঘলা হতে শুরু করবে উপকূলের জেলাগুলিতে। রাত থেকেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। ধীরে ধীরে বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। সপ্তমী ও অষ্টমীর দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ত দুই মেদিনীপুরে।
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের জেরেই এবার পুজোয় অথৈ জলে ভাসবে রাজ্যবাসী। অন্তত এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার নতুন করে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে চলেছে উত্তর-পূর্ব এবং পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায়। ইতিমধ্যেই পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে। এই ক্রমশ সরে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণাবর্তের সঙ্গে মিশে আরও শক্তিশালী হবে।
আরও পড়ুন :: পার্থ-অর্পিতা জেলে, নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের পুজো উদ্বোধন কার হাতে?
আজ কলকাতায় আকাশ থাকবে আংশিক মেঘাচ্ছন্ন। সেইসঙ্গে থাকবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। দু-এক পশলা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
সপ্তমী ও অষ্টমীতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে। কলকাতা, হাওড়া এবং ঝাড়গ্রামে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। কোন কোন জায়গায় দু-এক পশলা বৃষ্টি হতে পারে। তবে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় সপ্তমী ও অষ্টমীর দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। ওড়িশা ও ঝাড়খন্ড সংলগ্ন জেলাগুলিতে তুলনায় কম বৃষ্টি হবে।
পুজোতে বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই পাবে না উত্তরবঙ্গও। উত্তরবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।