ববিতা সরকারের পর এবার হাই কোর্টে নির্দেশে চাকরি পেলেন প্রিয়াঙ্কা সাউ। ২৮ অক্টোবরের মধ্যে প্রিয়াঙ্কা সাউকে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশের ফলে প্রিয়াঙ্কা সাউ নিজের বাড়ির কাছাকাছি যে কোনও একটি স্কুলে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দিতে পারবেন পুজোর পরই।
এ নিয়ে প্রিয়াঙ্কার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, ”আন্দোলন করেও যখন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছিল না, তখন আদালতের দ্বারস্থ হন। আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে মামলা করেন। ২০১৬ সালে তিনি এসএলএসটি একাদশ-দ্বাদশের জন্য পরীক্ষা দেন। ২০১৭ সালে পরীক্ষার পর ইন্টারভিউয়ের ডাক পান। তবে তাঁর চেয়ে কম নম্বর পেয়ে একজন চাকরিতে যোগ দেয়। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন। সেই অভিযোগেই এই মামলা বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, “আদালতের নির্দেশে চাকরি পেয়ে খুব ভাল লাগছে। আদালতের উপর বরাবর ভরসা ছিল, এখনও আছে।”
আরও পড়ুন :: অভিষেকের ‘মাথায় গুলি’ মন্তব্যের জের…, আদালতে মামলা সুকান্তর
প্রসঙ্গত প্রিয়ঙ্কার অভিযোগ ছিল, তাঁর থেকে কম নম্বর পেয়েও চাকরির নিয়োগপত্র পেয়েছেন। কিন্তু তাঁর যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নিয়োগপত্র পাননি। তাঁর আরও অভিযোগ, ২০১৬ সালে তিনি এসএলএসটি একাদশ-দ্বাদশের জন্য পরীক্ষা দেন। সেখানে দুটি ক্যাটাগরি রয়েছে, মেল-ফিমেল এবং ফিমেল। এই দুই বিভাগে তাঁর নাম থাকার কথা। কিন্তু প্রিয়ঙ্কার অভিযোগ, তাঁর নাম ছিল শুধু ফিমেল ক্যাটাগরিতেই।
মেল-ফিমেল ক্যাটাগরিতে নাম থাকা অনেকেরই নম্বর তাঁর প্রাপ্ত নম্বরের থেকে কম বলে দাবি করেন প্রিয়ঙ্কা। তাঁর চেয়ে ৪ নম্বর কম পেয়েও একজন চাকরি পেয়েছেন বলে জানান প্রিয়াঙ্কা। এরপর বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রিয়ঙ্কা। অবশেষে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর চাকরির নিয়োগ পাওয়ার জন্য আদালতের নির্দেশ পেলেন তিনি।