রাজ্য

টেট আন্দোলন ‘বিচারাধীন বিষয়’, প্রশ্নের জবাব মমতার

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

টেট আন্দোলন ‘বিচারাধীন বিষয়’, প্রশ্নের জবাব মমতার

বিষয়টি এখনও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তাই চাকরির দাবিতে টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা স্পষ্ট জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

সোমবার দুপুর থেকে নিয়োগের দাবিতে সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ ‘নট ইনক্লুডেড’ প্রার্থীরা। এই আবহে উত্তরবঙ্গ সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার সাংবাদিকরা এই বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘‘এই সব নিয়ে আমি এখন আলোচনা করছি না। কারণ, এটা এখন বিচারাধীন বিষয়। আদালত নির্দেশ দিয়েছে। তোমরা আদালতকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করো।’’ এই পরামর্শই দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিকে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা শুধু আশ্বাসে পেয়েছেন। দেড় বছর ধরে আন্দোলন করেও প্রাপ্য চাকরি থেকে তাঁরা বঞ্চিত।

এদিকে, বুধবার থেকে নতুন করে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে পর্ষদ। এমন পরিস্থিতিতে বিক্ষোভরত চাকরি প্রার্থীরা দাবি তুলেছেন, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে আগে তাঁদের নিয়োগপত্র দিতে হবে। ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেটে ‘ব্যাপক দুর্নীতি’ হয়েছে বলেও তাঁদের অভিযোগ। বেআইনিভাবে প্রাথমিকে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের অপসারণ করা এবং মেধার ভিত্তিতে টেট-উত্তীর্ণ যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

তাঁদের আরও বক্তব্য, ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য তাঁরা টেট পাশ করেছেন। দু’বার ইন্টারভিউও দিলেও আজও নিয়োগপত্র পাননি বলে অভিযোগ। যদিও মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক দেশে প্রত্যেকের আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে। তাঁদের আবেগের প্রতি সহমর্মী। কিন্তু অন্যায্য দাবি মানা যায় না।’’

আন্দোলনকারীদের একাংশ বলেন, ২০২০ সালে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, প্রাথমিকে শিক্ষক পদে ২০ হাজার জনকে নিয়োগ করা হবে। কিন্তু বাস্তবে এক জনকেও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। শুধু আশ্বাসই পেলাম আমরা। আজ যদি উনি আমদের চাকরি দিতে অস্বীকার করেন তা হলে উনি কি মানবিক মুখ্যমন্ত্রী? এই বিষয়টি ওঁর নিজের এসে দেখা উচিত।’’ ক্ষোভের সঙ্গে এমনটাই জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

আরও পড়ুন ::

Back to top button