ঝড় বৃষ্টি যাবে যাবে করেও কিছুতেই যেন যেতে চাইছে না। ফের আবহাওয়ায় বড় পরিবর্তন হতে চলেছে। অ্যাকুওয়েদারে বুধবার কলকাতার ওয়েদার আপডেটে বলা হয়েছে, অংশত মেঘলা আকাশ থাকবে। বেলা বাড়লে হালকা থেকে মাঝারি বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশেই৷ আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ হতে পারে ৭৬ শতাংশ।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়াও একই থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। পূর্বাভাস রয়েছে৷ উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির দাপট কমেছে৷ ভোরের দিকে হালকা ঠান্ডার অনুভূতি রয়েছে দুই বঙ্গেই।
তবে ভারতের মৌসম বিভাগের মঙ্গলবারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরের খাঁড়িতে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা শুরু হয়েছে৷ যার জেরে সপ্তাহান্তে আছড়ে পড়তে পারে সাইক্লোন। আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরের খাঁড়িতে দক্ষিণ পশ্চিম এবং তাঁর সংলগ্ন পূর্ব ও মধ্যভাগে নিম্নচাপ ক্ষেত্র তৈরির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে৷ এর কারণে ২২ অক্টোবর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে। যা সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ কিন্তু এর তীব্রতা আর গতিপথের বিষয়ে এখনই কিছু অনুমান করা যাচ্ছে না। আশঙ্কা করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে ঝাড়খণ্ড থেকে বিহার -ওড়িশাতেও। প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
ওড়িশা সরকার পূর্বাভাসের ভিত্তিতে জানিয়েছে, ২৩-২৫ অক্টোবর সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হবে৷ অগ্রিম সতর্কতা হিসেবে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে৷
বঙ্গোপসাগরের পাশাপাশি আরব সাগরে মহারাষ্ট্রের কাছেই সাইক্লোনিক হাওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে৷
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে জানা গিয়েছে, বুধবারও দক্ষিণ ভারতের মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, মণিপুর, মিজোরাম, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, নাগাল্যান্ড এবং কেরলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ বৃষ্টিপাত হতে পারে ঝাড়খণ্ডেও। অন্যদিকে তুষারপাতের আশঙ্কা রয়েছে হিমালয় ও তার সংলগ্ন এলাকায়।