রাজনীতিরাজ্য

নন্দীগ্রামে মুখোমুখি দুই ‘ফুল শিবির’ শহিদ বেদি শুদ্ধিকরণ করলেন শুভেন্দু

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

Suvendu Adhikari : নন্দীগ্রামে মুখোমুখি দুই ‘ফুল শিবির’ শহিদ বেদি শুদ্ধিকরণ করলেন শুভেন্দু - West Bengal News 24

প্রতিবছর ১০ নভেম্বর পালিত হয় ‘নন্দীগ্রাম দিবস’। আর নন্দীগ্রাম দিবসের দিনই সেখানে ‘ফুল যুদ্ধ’! তৃণমূল বনাম বিজেপি। শহিদ বেদিতে শুভেন্দুকে মাল্যদান না করতে দেওয়ার দাবি করে তৃণমূল। শহিদ বেদির সামনেই তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে কুণাল ঘোষ, অখিল গিরি, সুফিয়ানরা ধরনায় বসেন। শেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে ধরনা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে।

শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্তদের ছোঁয়ায় অপবিত্র হয়েছে শহিদ বেদি। আমি না এলে, শহিদ বেদি গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধ না করলে, মাল্যদান না করলে শহিদ বেদি শুদ্ধ হত না।’’

বৃহস্পতিবার সকালে ছিল তৃণমূলের কর্মসূচি আর বিকেলে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর। শুভেন্দু আসার অনেক আগে থেকেই নন্দীগ্রামের কয়েকজন বিক্ষোভকারী দাবি জানাতে থাকেন, শহিদ বেদিতে যেন শুভেন্দু মালা দিতে না পারেন। এই দাবিতে শহিদ বেদির সামনে ধরনায় বসে তৃণমূল। সেই ধরনা কর্মসূচিতেই যোগ দেন পূর্ব মেদিনীপুরের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, শেখ সুফিয়ান, মন্ত্রী অখিল গিরিও।

অবশেষে পুলিশের অনুরোধে ধরনা প্রত্যাহার করে। কিন্ত কোনও ভাবেই শহিদ বেদির মালা খোলা যাবে না বলে শর্ত দেয় তৃণমূল। পরে অবশ্য পদ্মের নেতা-কর্মীরা খুলে ফেলেন শহিদ বেদিতে তৃণমূলের লাগানো ফুলের মালা। নিজ হাতে শহিদ বেদি পরিষ্কার করে ও গঙ্গাজল দিয়ে ধুইয়ে দেন শুভেন্দু। এরপর শহিদ বেদিতে মালা দেন তিনি।

কুণাল ঘোষদের উদ্দেশে কার্যত চ্যালেঞ্জের সুরে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ওদের সাহস থাকলে বসে থাকল না কেন? পালিয়েছে কেন? আমাকে শহিদ বেদিতে মালা দানে বাধা দিলে এদিন আমার সঙ্গে থাকা দশ হাজার লোক তুলে ওদের সামনের পুকুরে ফেলে দিত।’’

আরও পড়ুন ::

Back to top button