জলপাইগুড়ি

“সারিন্দার জাদুকর” জলপাইগুড়ির মঙ্গল কান্ত রায় ১০২ বছর বয়সে ভূষিত হলেন পদ্মশ্রী সম্মানে

মনোজ কুমার বর্মন

“সারিন্দার জাদুকর” জলপাইগুড়ির মঙ্গল কান্ত রায় ১০২ বছর বয়সে ভূষিত হলেন পদ্মশ্রী সম্মানে - West Bengal News 24

এবছর ভারত সরকারের দেওয়া পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হলেন ময়নাগুড়ি ব্লকের ধওলাগুড়ি গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গল কান্ত রায়। প্রায় আট দশক ধরে সারিন্দা বাজিয়ে চলেছেন তিনি। মিলেছে অনেক পুরস্কার অজস্র সম্মান। আর এ বছর তার পুরস্কারের থলিতে যুক্ত হল আরো বড় একটি সম্মান “পদ্মশ্রী”।

উত্তরবঙ্গের তামাম লোকসংস্কৃতি প্রিয় মানুষ স্বভাবতই খুশি রাজবংশী জনজাতির অন্তর্ভুক্ত এই শিল্পীর সাফল্যে। খুব অল্প বয়সে সারিন্দার টানে ঘর ছেড়েছিলেন তিনি। অনুষ্ঠান করেছেন দেশের বিভিন্ন জায়গায়। এখন তিন ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতেই রয়েছেন তিনি।

৫০০ বছরের পুরনো বাদ্যযন্ত্র সারিন্দার মাধ্যমে বাজাতে পারেন বিভিন্ন পাখির ডাক। আর্থিক স্বচ্ছলতা সেভাবে পাননি কোনদিন। ২০১৭ সালে রাজ্য সরকারের দেওয়া বঙ্গ রত্ন পুরস্কারের পর কিছুটা হলেও স্বচ্ছলতা ফিরেছিল। প্রত্যেকটা সরকারি অনুষ্ঠানে সারিন্দা বাজিয়ে তিনি পেতেন মাত্র হাজার টাকা।

কিন্তু করোনা মহামারীর সময় লকডাউনের ফলে সেই স্বল্প উপার্জন টুকুও বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সারিন্দা কে কাছ ছাড়া করেননি তিনি কখনোই। আর্থিক কষ্টের কাছে কখনোই হার মানে নি তার শিল্পী সত্ত্বা। অভাব অনটনের মধ্যেও বাজিয়ে গেছেন সারিন্দা। নিরক্ষর এই শিল্পীর হাতের জাদুতে কথা বলে ওঠে তার বাদ্যযন্ত্র।

ভাওয়াইয়া থেকে শুরু করে বিষহরা, মদন কাম, চোর চুন্নি পালা ইত্যাদি সমস্ত রকমের গান বাজিয়ে তিনি মনোরঞ্জন করেই চলেছেন। উত্তরবঙ্গের লোকসংস্কৃতির জগতের এই উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব বলেন, জীবনের বাকি সময়টুকু তিনি সারিন্দা বাজিয়েই কাটিয়ে দিতে চান। কোন কিছুতেই আফশোস নেই তার।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য