আর নেই ভরসা, আদানির পতনের পর ১,৬৪৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করে দিল নরওয়ের সংস্থা
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
২০২২ সালের শেষের দিকে নরওয়ের তহবিল এর আদানি গ্রিন এনার্জিতে ৫২.৭ মিলিয়ন ডলার মূল্যের শেয়ার, আদানি টোটাল গ্যাসের ৮৩.৬ মিলিয়ন ডলারের শেয়ার এবং আদানি পোর্টস এবং স্পেশাল ইকোনমিক জোনে ৬৩.৪ মিলিয়ন ডলারের শেয়ার ছিল। সব মিলিয়ে আদানিদের প্রায় ১,৬৪৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করে দিল নরওয়ের (Norway) সংস্থা।
বিতর্কের মাঝেও বাজারে থাকা ঋণ পরিশোধের ঘোষণা করতেই হু হু করে বাড়ছিল আদানিদের (Adani Group) শেয়ারের দাম। কিন্তু দু’দিন যেতে না যেতেই আবার পড়তে শুরু করেছে ধনকুবের গৌতম আদানির (Goutam Adani) মালিকানাধীন আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের দর (Adani Enterprises Share)। মনে করা হচ্ছিল, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের জেরে শেয়ার বাজারে যে ক্ষতি আদানিদের হয়েছে, তা ধীরে ধীরে আবার পূরণ হতে শুরু হয়েছে।
গত সোমবার বাজারের থাকা কোটি কোটি টাকার ঋণ শোধ করার দাবি করেছিল আদানি গোষ্ঠী (Adani Group)। তার ঠিক এক দিন পরই অর্থাৎ, গত মঙ্গলবার আদানিদের মূল সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারের দর বেড়েছিল প্রায় ২৫ শতাংশ। বুধবার সেই দাম ছিল আকাশছোঁয়া। কিন্তু বৃহস্পতিবারের হিসাব বলছে অন্য কথা। বৃহস্পতিবার আবার শেয়ার বাজারে মুখ থুবড়ে পড়েছে আদানি এন্টারপ্রাইজ (Adani Enterprise)। শেয়ারের দর কমেছে ১১ শতাংশের বেশি।
অন্য দিকে, নরওয়ের ১ কোটি ৩৫ লক্ষ কোটি ডলারের নরওয়ের সম্পদ তহবিল বৃহস্পতিবার আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। তহবিলের কাছে থাকা আদানিদের অবশিষ্ট শেয়ারগুলিও তারা বিক্রি করে দিয়েছে বলেই জানিয়েছে। এই তহবিলের অন্যতম কর্তা ক্রিস্টোফার রাইটের কথায়, ‘‘আমরা বহু বছর ধরে আদানিদের উপর নজরদারি চালাচ্ছি। তাদের বেশ কিছু কাজ পরিবেশগত ঝুঁকি তৈরি করছে।’’ একটি সংবাদিক বৈঠকে বৃহস্পতিবার ক্রিস্টোফার এই মন্তব্য করেন।
২০১৪ সাল থেকে ২০২২ সালের শেষ পর্যন্ত নরওয়ের এই সংস্থা আদানি গোষ্ঠীর পাঁচটি সংস্থা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। আদানি পোর্ট (Adani Port)সহ তিনটি সংস্থায় বিনিয়োগ করেছিল নরওয়ের এই তহবিল। তবে কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে তারা এই তিনটি সংস্থা থেকেও সরে এল। ক্রিস্টোফার বলেন, ‘‘গত বছরের শেষ থেকে আমরা আদানি সংস্থাগুলিতে বিনিয়োগ আরও কমিয়েছি। আমাদের সঙ্গে আদানিদের আর বিশেষ সম্পর্ক নেই।’’