রাজ্য

নবান্ন’র বিরুদ্ধে ২.৩ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব চেয়ে জনস্বার্থ মামলায় নতুন মোড়

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

নবান্ন’র বিরুদ্ধে ২.৩ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব চেয়ে জনস্বার্থ মামলায় নতুন মোড়

নবান্নের (Nabanna) বিরুদ্ধে ২.৩ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব চেয়ে করা জনস্বার্থ মামলায় নতুন মোড় নিল মঙ্গলবার। তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) পরিচালিত সরকার আঙুল তুলল ৩৪ বছরের বাম সরকারের দিকে৷ ব্যবহারিক শংসাপত্র ছাড়া হিসেব ২০০২ সাল থেকেই হয়ে আসছে। নতুন কিছু নয়। এদিন চাঁছাছোলা ভাবে তীক্ষ্ণ সওয়ালে আক্রমণ শানালেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (AG) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (Soumendra Nath Mukherjee)।

তাঁর কথায়, ক্যাগ রিপোর্ট রাজভবন ঘুরে পৌঁছয় বিধানসভায়। তারপর যায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিতে। CBI তদন্ত চেয়ে করা বিজেপি (BJP) সাধারণ সম্পাদক (State Secretary) জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের (Jagannath Chottopadhyay) করা জনস্বার্থ মামলায় সঠিক ন্যায়বিচার করতে হলে রাজ্যের বিধানসভাকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন রাখেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (AG) ।

মঙ্গলবার এই মামলায় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের সওয়ালে তুলে ধরেন,” ২০১১ সালের আগেরও শংসাপত্র নেই। ২০০২ সাল থেকে এটা চলছিল। এই মামলা ২০২০-২১ সালের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে করা। সেখানে বিগত বছরগুলির প্রসঙ্গ টানার প্রয়োজন নেই।” কেন্দ্রের পাঠানো টাকায় আর্থিক অনিয়ম হয়েছে এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ তিন ব্যক্তি।

মামলকারীদের অভিযোগ, প্রায় ২ লাখ ২৯ হাজার কোটি টাকার হিসাব দিতে পারছে না রাজ্য সরকার। বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ৩১ মার্চ ক্যাগের রিপোর্টে ওই অসঙ্গতির কথা উল্লিখিম রয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) পাঠানো টাকার নয়ছয় হয়েছে।

মামলকারীদের দাবি, ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় অর্থ খরচের কোনও ব্যবহারিক শংসাপত্র (ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট) প্রকাশ করেনি রাজ্য। পরের বছরগুলির শংসাপত্র ২০২২ সালের মার্চ মাসে এক সঙ্গে প্রকাশ করা হয়। যদিও নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি আর্থিক বছরে ব্যবহারিক শংসাপত্র প্রকাশ করা উচিত। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব (Prakash Sreebastava) রাজ্যের কাছে জানতে চান, পিএসিতে কী হয় তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে তবে আদালতকে ? সরাসরি সময়সীমা বেঁধে দিয়ে সেখান থেকে রিপোর্ট চাইবে আদালত ?

অন্যদিকে, এই মামলায় আদালত নির্দেশ দিলে আর্থিক অনিয়ম হয়েছে কি না তার প্রাথমিক অনুসন্ধান করতে প্রস্তুত বলে জানায় এদিন সিবিআই (CBI) আইনজীবী কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য। আগামী সপ্তাহে আবার এই মামলার শুনানি।

ডিভিশন বেঞ্চের অন্য বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের (Rajarshi Bharadwaz) প্রশ্ন, ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কেন প্রকাশ করা হয়নি ? সেই অর্থের খরচ কী ভাবে হয়েছে ? পিএসির (PAC) এ নিয়ে কী সিদ্ধান্ত? উত্তরে এজি (AG) বলেন , এই মামলাটি অন্য বছরের। আগে কেন প্রকাশ করা হয়নি তা নিয়ে কোনও নির্দেশ আমার কাছে নেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিধানসভার দায়িত্ব প্রশ্ন ওঠে। এমতাবস্থায় আদালত চাইলে বিধানসভাকে মামলায় যুক্ত করতে পারে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button