বর্ধমানে এই প্রথমবার ‘হরিণঘাটা ফুড কোর্ট কাম সেল কিয়স্ক’, উদ্বোধন করলেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী মাননীয় স্বপন দেবনাথ
হরিণঘাটা মিট’ এবার গৃহস্থের দোরগোড়ায়। স্মার্টফোনে অ্যাপ আকারে আসছে রাজ্য সরকারের ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের (ডব্লুবিএলডিসি) আওতাধীন এই সংস্থা। অ্যাপে ঢুকে অর্ডার দিলেই বাড়িতে পৌঁছে যাবে হরিণঘাটার মুরগি ও খাসির মাংস। এছাড়া কোয়েল আর টার্কি তো আছেই।
লকডাউন পর্বে কলকাতা তথা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের রসনাতৃপ্তির জন্য লাগাতার মাংস জুগিয়ে গিয়েছে হরিণঘাটা মিট। এই সময়ে কলকাতা ও আশপাশের ২৩০টি আবাসনে মাংস বিক্রি করে ৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকারও বেশি আয় করেছে তারা। সামগ্রিক পরিসংখ্যান বলছে, ক্রেতাদের অর্ধেকই বিভিন্ন আবাসনের বাসিন্দা। ডব্লুবিএলডিসি’র কর্তাদের দাবি, করোনা বিপর্যয় পর্বে সাধারণের কাছে সুলভ মূল্যে মাংস পৌঁছে দেওয়ার এই পরিকল্পনা নিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ বর্ধমান শহরে প্রথমবার কোর্ট চত্বরে উদ্বোধন করা হল রাজ্য সরকারের হরিণঘাটা মিট শপের।হরিণঘাটা মিট’ এর নানান সুস্বাদু খাদ্যপণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা মাথায় রেখে সর্বাধিক মানুষের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন নিগম বর্ধমান শহরের ক্রেতাবন্ধুদের দোরগোড়ায় হাজির হয়েছে। আজকের ব্যস্ত নাগরিক জীবনে প্রসেসড খাবার এবং রেডি টু ইট আমিষ খাবারের চাহিদা বাড়ছে।
সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই ১ মার্চ বর্ধমানে জেলা প্রশাসনের ক্যাম্পাসে একটি নতুন বিপনীর উদ্বোধন করেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডঃ গৌরী শংকর কোনার, পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দেবু টুডু, জেলা পরিষদের মেন্টর উজ্জ্বল প্রামানিক, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সুপ্রিয় সরকার, বিডিএ’র চেয়ারম্যান কাকলি তা গুপ্ত, ভাইস চেয়ারম্যান আইনুল হক, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মেহবুব মন্ডল, মিঠু মাঝি সহ অন্যান্যরা।
মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলায় নিগমের ‘হরিণঘাটা মিট’ ইতিমধ্যেই রসনাপ্রিয় বাঙালীর কাছে যথেষ্ট খ্যাতি ও সমাদর লাভ করেছে। ব্যবসার ব্যাপ্তি ও বাজার-চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবং আরও ব্যাপকভাবে প্রসারের জন্য নিগমের এই বিশেষ সংযোজন ‘ফুড কোর্ট কাম সেল কিয়স্ক’। কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই রকম বিপনি প্রায় বারো টি চালু আছে।
এই নিগমের নিজস্ব আউটলেট, সরকারি কিয়স্ক ও বিভিন্ন অনুমোদিত ফ্রাঞ্চাইজি পয়েন্ট মিলিয়ে প্রায় ৭০০ টি আউটলেট চালু আছে যা এক বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ এনে দিয়েছে। যেখানে ২০১০-২০১১ সালে এই আউটলেটের সংখ্যা ছিল মাত্র ৬টি। তিনি আরো বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে এই সংস্থার বিক্রি বেড়েছে কয়েকশো গুণ। সংস্থা কোভিডের সময় পেরিয়েও এখন লাভজনক। তারা এর পরিধিকে আরো বাড়াতে চান। সেই লক্ষ্যেই বর্ধমানে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় চালু হলো আরও একটি নতুন বিপণন কেন্দ্র।