সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ৪৫ টন ক্ষমতার বৈদ্যুতিক লরি সামনে আনল ট্রাইটন ইলেকট্রিক ভেহিকেল ইন্ডিয়া
বৈদ্যুতিক গাড়ি, যা ইংরেজিতে সংক্ষেপে EV ও বলা হয়। এসব যানবাহন পরিচালনার জন্য এক বা একাধিক বৈদ্যুতিক মোটর বা ট্র্যাকশন মোটর ব্যবহার করা হয়। এসকল যানবাহন সংগ্রাহক সিস্টেমের মাধ্যমে বিভিন্ন উৎস হতে চালিত হতে পারে, অথবা নিজস্ব ব্যাটারি, সৌর প্যানেল বা বৈদ্যুতিক জেনারেটরের মাধ্যমে জ্বালানি শক্তি বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তিরিত করে চালিত হতে পারে।
পরিবেশবান্ধব করে তুলতে বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানোয় জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’চাকা, তিন চাকা, চার চাকার মতো সকর প্রকার গাড়ি বিভাগে ব্যাটারি চালিত মডেলের জনপ্রিয়তা বাড়লেও, লম্বা দূরতে পাড়ি দিতে সক্ষম তেমন ইলেকট্রিক ট্রাকের আবির্ভাব ঘটেনি। তবে এবার ভারতের অন্যতম ক্লিন মোবিলিটি স্টার্টআপ ট্রাইটন ইলেকট্রিক ভেহিকেল ইন্ডিয়া দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ৪৫ টন ক্ষমতার একটি বৈদ্যুতিক লরি সামনে আনল।
ট্রাইটন ইলেকট্রিক ভেহিকেল ইন্ডিয়ার তরফ থেকে উন্মোচিত পরিবেশবান্ধব এই বিশালাকৃতি ট্রাকটি দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত প্রথম মডেল বলে দাবি করেছে ট্রাইটন ইলেকট্রিক। এটি সংস্থার গুজরাতের খেরার গবেষণা এবং উন্নয়ন কেন্দ্রে রাখা আছে। ট্রাইটনের দাবি, এই ইলেকট্রিক ট্রাকের ওজন বহনের ক্ষমতা ৪৫ টন এবং সম্পূর্ণ চার্জ থাকলে এটি ৩০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে সক্ষম।
নতুন ট্রাকটির সম্পর্কে ট্রাইটন ইলেকট্রিক ভেহিকেলের প্রতিষ্ঠাতা এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিমাংশু প্যাটেল বলেন, “এটি তৈরির সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা হয়েছিল – সহজ ব্যবহার্য, আরামদায়ক ড্রাইভিং, বর্ধিত নিরাপত্তা, উন্নত কার্যক্ষমতা এবং স্টাইল।” সংস্থাটি জানায়, তাদের এই গবেষণা এবং উন্নয়ন কেন্দ্রের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বে স্মার্ট মোবিলিটি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদান করাই তাদের লক্ষ্য।
ট্রাইটন ইলেকট্রিক ভেহিকেল তরফ থেকে জানানো হয় , বর্তমানে তারা পরিবেশবান্ধব একাধিক তিন চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ির উপর কাজ করছে। এছাড়াও সেই তালিকায় রয়েছে, সামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ট্রাক, ইলেকট্রিক ট্রাক, হাইড্রোজেন বাস এবং হাইড্রোজেন স্কুটার। এই সবগুলিই তাদের গুজরাতের কারখানায় তৈরি হবে।