Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
বর্ধমান

শিক্ষকের অভাবে মুখ ফেড়াচ্ছেন পড়ুয়া থেকে অভিভাবক, দুজন অতিথি শিক্ষক মিলে সামলাচ্ছেন স্কুল

শিক্ষকের অভাবে মুখ ফেড়াচ্ছেন পড়ুয়া থেকে অভিভাবক, দুজন অতিথি শিক্ষক মিলে সামলাচ্ছেন স্কুল

রাজ্যের বহু জায়গায় ফুটে উঠছে একের পর এক স্কুলের বেহাল অবস্থা। কোথাও শিক্ষকের অভাব আবার কোথাও স্কুলের পরিকাঠামো। এই রকমই এক দৃশ্য দেখা গেলো পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের গঙ্গাটিকুড়ি জুনিয়র হাই স্কুলে।শিক্ষকের অভাবে পড়ুয়ারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।তাই দুই শিক্ষক শুধু নিয়ম করে স্কুলে আসেন,আর গল্পগুজব করে সময় কাটিয়ে যথা সময়ে বাড়ি চলে যান ।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যে যখন তোলপাড় চলছে সেই সময়ে পড়ুয়ার অভাবে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের গঙ্গাটিকুড়ি জুনিয়র হাই স্কুলের ধোঁকার বিষয়টি সামনে এসেছে । স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে জেলা স্কুল দপ্তর,কারুরই জানা নেই ফের কবে এই স্কুল পড়ুয়াদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠবে।কেনই বা বাড়ির ছেলে মেয়েদের এই স্কুলে পড়াতে পাঠানোর ব্যাপারে অনাগ্রহী অভিভাবকরা । উত্তর খুঁজছে প্রশাসন।

কাটোয়া মহুকুমার কেতুগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের জনবহুল এলাকা গঙ্গাটিকুড়ি ।শিক্ষা প্রসারের উদ্দেশ্যে রাজ্য সরকার ২০১৩ সালে এই এলাকায় একটি স্কুল তৈরির অনুমোদন দেয় ।তিন কাঠা জমির উপর তিনটি শ্রেণিকক্ষ,অফিস ঘর ও মিডডে মিলের রান্নার ঘর সমেত গঙ্গাটিকুড়ি জুনিয়র হাই স্কুল ভবন প্রতিষ্ঠা পায়।

শতাধিক পড়ুয়া নিয়ে এই স্কুলে শুরু হয় পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পঠন পাঠন ।স্কুলে পঠন পাঠনের দায়িত্ব বর্তায় দুই অবসর প্রাপ্ত অতিথি শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, নুরুল আমিনের উপরে। প্রথম দিকে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও সময় গড়ানোর সাথে সাথে এই স্কুলের প্রতি পড়ুয়া এবং তাঁদের অভিভাবকদের মোহ ভঙ্গ হতে শুরু করে।

এই বছর খাতায় কলমে স্কুলের পড়ুয়া হিসাবে মাত্র একজনের নাম থাকলেও ওই পড়ুয়াও আর স্কুলে আসেন না। পড়ুয়া বিহীন নিস্তব্ধ এই স্কুলে এখন শুধু নিয়মকরে আসেন দুই শিক্ষক । তাঁরাই স্কুলের গেট খোলেন। তবে কো পড়ুয়া না থাকার জন্য ক্লাস হয়না বলে ঘন্টা বাজানোর আর প্রয়োজন হয় না। ক্লাস রুমের বেঞ্চ ,ব্লাকবোর্ড সবেতে পড়ে গিয়েছে ধুলোর আস্তরণ । শিক্ষকরা স্কুলে এসে শুধু অফিস রুমে বসে গল্পগুজব করে সময় কাটান । টিফিন খেয়ে যথা সময়ে স্কুলে গেটে তালা লাগিয়ে দিয়ে শিক্ষকরা বাড়ি চলে যান ।

কেতুগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অমিত সাউ এর কথাতেও উঠে এসেছে স্কলটিতে শিক্ষকের আকালের কথা। বিডিও বলেন, “জানতে পেরেছি গঙ্গাটিকুড়ি জুনিয়র হাই স্কুলটি দু’জন মাত্র অতিথি শিক্ষক মিলে চালান। স্কুলে কোনো স্থায়ী শিক্ষক নেই। অবিভাবকরা তাঁদের ছেলে মেয়েদের ওই স্কুলে ভর্তি করতে না চাওয়াতে স্কুলটি ধুঁকছে”। বিডিও এমনটা জানালেও

জেলার স্কুল পরিদর্শক শ্রীধর প্রামাণিক বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে দেখে তবেই বলতে পারবো“।

আরও পড়ুন ::

Back to top button