নজরে এবার পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election)। তা মাথায় রেখেই তৎপরতা শুরু করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। আগামী ১৮ এপ্রিল জেলাশাসকদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, সব জেলার জেলাশাসকদের ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। দুপুর ২টো থেকে ১৮ এপ্রিল এই বৈঠক শুরু হবে।
কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayet Election) ভোটকেন্দ্র নিয়ে চূড়ান্ত নির্দেশ প্রকাশ হওয়ার কথা ২৮ এপ্রিল। বিধি অনুযায়ী তার ১২ দিনের মধ্যে ভোট করানো সম্ভব নয়। কমিশনের (State Election Commission) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাধারণত ২১ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে ভোট করানো যেতে পারে। সেক্ষেত্রে মে মাসের শেষে বা জুনের প্রথমে ত্রিস্তরীয় নির্বাচন (Panchayet Election) হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission) ইতিমধ্যেই জানিয়েছে রাজ্য সরকার, কেন্দ্র সরকার, সংশ্লিষ্ট সরকারের অধিকৃত সংস্থা পুরসভা, স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীদের ভোট কর্মী হিসেবে বাছা যেতে পারে। ভোট কর্মীদের দলে যাতে অন্তত একজন করে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের কর্মী থাকেন, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে জেলাগুলিকে l সরকারিভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election) কবে হবে তা এখনও পর্যন্ত জানানো না হলেও এই বৈঠকের মাধ্যমে মনে করা হচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিল।
সেই নির্দেশ অনুযায়ী ভোট কর্মীদের চিহ্নিত করার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর এক দফায় পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayet Election) প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ ভোটকর্মী লাগতে পারে। তা নিয়ে প্রশাসনের কোন সমস্যা না থাকলেও রাজ্য পুলিশ দিয়ে এক দফায় ভোট করানো সম্ভব কিনা তা নিয়ে অবশ্য ভাবাচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে (State Election Commission)।
ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৬১৩৪০ টি। যদিও ইতিমধ্যেই অন্যান্য রাজ্য থেকে পুলিশ আনা সম্ভব নাকি তা নিয়েও খোঁজখবর শুরু করেছে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর। সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে ১৮ এপ্রিলের বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিতে পারে জেলাশাসকদের রাজ্য নির্বাচন কমিশন।