ইডি’র (Enforcement Directorate) তলবে সাড়া। নির্ধারিত সময় মতো বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছলেন শ্বেতা চক্রবর্তী (Sweta Chakrabarty)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত অয়ন শীলের (Ayan Shil) ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সির স্ক্যানারে কামারহাটির পুরসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার শ্বেতা।
শ্বেতার দাবি, গত ২০১৭ সালে অয়নের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। সেই সময় অয়নের প্রোডাকশন হাউসের হয়ে বেশ কয়েকটি কাজ করেছিলেন। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত ‘কবাডি কবাডি’ ছবিতে প্রযোজক ছিলেন অয়ন (Ayan Shil)। সেই ছবিতে ডেবিউ করেন শ্বেতা (Sweta Chakrabarty)। মডেল-অভিনেত্রীর দাবি, মুক্তি না পাওয়া ওই ছবিতে কাজের জন্য পারিশ্রমিক ছাড়া এক পয়সাও নেননি। তবে অয়নের একটি গাড়ি তিনি ব্যবহার করতেন, তা আগেই স্বীকার করে নেন শ্বেতা (Sweta Chakrabarty)।
তার নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে। তাঁর নামে জমিও কিনেছিলেন অয়ন শীল (Ayan Shil)। সেই সংক্রান্ত খোঁজখবর নিতেই অয়ন ‘ঘনিষ্ঠ’ শ্বেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডি’র। শুধু ২০১৪-এর টেট নয় ২০১২-এর টেটেও টাকা তোলা হয়েছে, আদালতে এমনই দাবি করেছে ইডি (Enforcement Directorate)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে রয়েছেন অয়ন শীল (Ayan Shil)।
অয়ন শীলের (Ayan Shil) বাড়ি থেকে যে সমস্ত নথি উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের আধিকারিকেরা, সেখানেও পৌরসভাতে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছেন তদন্তকারী সংস্থা। সেখানেই বেশ কয়েকটি পৌরসভার নামও ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে। আজ শ্বেতাকে (Sweta Chakrabarty) জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই তথ্যগুলিই জানতে চায় ইডি (Enforcement Directorate)।