মহালয়ায় কোটাল – পরিত্রাণ কিভাবে ? জেলা শাসক, সুপারদের কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
কোশীর জলে থৈথৈ উত্তরবঙ্গের একটা বড় অংশ। এর পাশাপাশি মহালয়ার দিন কোটাল আবার নতুন করে আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। কারণ কোটালের জলস্ফীতিতে নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই পুজোর মুখে এই তিন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে রণকৌশল নিয়েছে নবান্ন।
দক্ষিণবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি এখন কেমন তা নিয়ে খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। কোথায় কী অবস্থা, কোথায় সমস্যা আছে তা নিয়ে জেলাশাসকরা জানান। কোশী থেকে জল ছাড়ার ফলে আর কী অসুবিধা, বা কোন-কোন এলাকা প্লাবিত হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে । সোমবার রাজ্যের জেলা প্রশাসনগুলির সঙ্গে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যসচিব সাংবিধানিক বৈঠকে জানিয়েছেন, গতকাল মুর্শিদাবাদ পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। আজকে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার জেলা শাসক, পুলিশ সুপার ও পুলিশের শীর্ষকার্তাদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরাও বৈঠকে হাজির ছিলেন। মূলত হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও উত্তর ২৪ পরগনার কিছু এলাকা, বনগাঁ, গোবরডাঙ্গা, গাইঘাটার কী অবস্থা সে সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে বৈঠকে। প্লাবনের জন্য অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ত্রাণের কাজ এখন চালিয়ে যেতে হবে যতদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।
বিশেষ করে জামা কাপড় ও খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাঁদের বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের ন্যূনতম তিনটে করে ত্রিপল দেওয়া হবে যাতে তাঁরা অস্থায়ীভাবে থাকার জায়গা তৈরি করতে পারে। এইসব নিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।