স্বাস্থ্য

চা খেলেই শরীরে মিশতে পারে বিষাক্ত রাসায়নিক! হতে পারে ক্যানসার!

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

চা খেলেই শরীরে মিশতে পারে বিষাক্ত রাসায়নিক! হতে পারে ক্যানসার! - West Bengal News 24

চায়ের গুণমান ঠিক রাখতে দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছে চা পর্ষদ। এবার সেই লক্ষ্যে দেশের খাদ্য সুরক্ষা এবং গুণমান নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অনুরোধ করল টি-বোর্ড। কারণ, তাদের অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় ধরা পড়েছে, বেশির ভাগ চায়েই রয়েছে ক্ষতিকর রাসায়নিক, নিষিদ্ধ কীটনাশকের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই জানাচ্ছেন, বিপজ্জনক রাসায়নিকযুক্ত চা শরীরে নানা ধরনের রোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে। হতে পারে ক্যানসার।

চা ছাড়া বাঙালির চলে না, তাই ডেকে আনতে পারে বিপদ। তাছাড়া, এ দেশের (বিশেষ করে দার্জিলিং) চা অনেক দেশেই রফতানি করা হয়। ফলে চায়ে ক্ষতিকারক পদার্থের উপস্থিতি থাকলে বাণিজ্যও ধাক্কা খাবে। আধিকারিকদের একাংশের দাবি, সাধারণ চায়ের দোকানে যে গুঁড়ো চা ব্যবহার হয়, ক্লান্তি কাটাতে যার উপর ভরসা করেন চা প্রেমীরা, তা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বাজারজাত হয়। ফলে গোড়ায় গলদ থাকলে ওই বিষ সরাসরি মানুষের শরীরে প্রবেশ করবে।

আরও পড়ুন :: এই ৫ উপসর্গ থাকলে কিডনির অসুখের বিষয়ে সতর্ক হোন

এফএসএসএআই-এর মানদণ্ডে প্রত্যেকটি নমুনাই ‘ফেল’ করেছে। নমুনাগুলিতে অ্যাশটামিপ্রিড, ইমিডাক্লোপ্রিড এবং মোনোক্রোটোফস-সহ অনেক ধরনের নিষিদ্ধ কীটনাশকের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তার পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত। চা উৎপাদন এবং প্রস্তুতকারক অনেক সংস্থাই যে নিয়ম মানছে না, সেই অভিযোগ চা পর্ষদের কাছে বহু দিন ধরেই আসছিল। কয়েক মাস আগে উত্তরবঙ্গের অনেকগুলি চা উৎপাদক সংস্থা এবং মজুতকেন্দ্রে হানা দেয় চা পর্ষদ। ২০ হাজার ৬৬৩ কিলোগ্রাম চা বাজেয়াপ্ত করা হয়। তার থেকে অন্তত ২২ প্রকারের নমুনা চিহ্নিত করে সেগুলি পাঠানো হয় ‘ন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড ফর টেস্টিং অ্যান্ড ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরিজ’ (এনএবিএল) অনুমোদিত পরীক্ষাগারে।

অনেক সংস্থাই যে গুণমান মেনে চা প্রস্তুত করছে না, রিপোর্টে তা-ও উল্লেখ করেছে টি-বোর্ড। সামগ্রিক তথ্য জানিয়ে এফএসএসএআই-কে লিখিত বার্তা পাঠিয়েছেন পর্ষদের ভারপ্রাপ্ত সচিব হৃষীকেশ রাই। কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের নির্দেশ সত্ত্বেও গুঁড়ো চায়ের একশো শতাংশ নিলাম বাধ্যতামূলক করা যাচ্ছিল না। সম্প্রতি তা বাধ্যতামূলক হয়েছে। ফলে নিলামে অন্তর্ভুক্ত চায়ের নমুনার গুণমান এফএসএসএআই-কে পরীক্ষা করাতেই হবে। যে চায়ের নমুনায় ক্ষতিকারক পদার্থের উপস্থিতি মিলবে, সেগুলির পুরোটাই নষ্ট করে ফেলার সুযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য