দুর্যোগ আসার আগে মঙ্গলবার ভোর থেকেই বাতাসে শিরশিরানি অনুভব করা যাচ্ছে। সাগরের নিম্নচাপের টানে গতি বাড়ল উত্তুরে হাওয়ার। এখনও পর্যন্ত যা পূর্বাভাস, বৃহস্পতিবার রাতে বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় দানা। বৃহস্পতিবার রাত কিংবা শুক্রবার সকালের মধ্যে ল্যান্ডফল হওয়ার কথা রয়েছে। পুরী ও সাগরদ্বীপের কাছে ধামরা বন্দরের কাছে ল্যান্ডফল হওয়ার কথা।
২৪ ও ২৫ অক্টোবরের মধ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। সাগর, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, বকখালিতে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। উপকূলের বাসিন্দাদের দ্রুত উঁচু এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সুন্দরবনের নদীবক্ষে মৎস্যজীবীদেরকে মাছ, কাঁকড়া ধরতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঝড়খালি উপকূল থানার পুলিশ।
নৌকা সহ মৎস্যজীবীদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে গ্রামের পথে। সমুদ্র থেকে সমস্ত ট্রলার ইতিমধ্যেই ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় দানা। বুধবার থেকেই বাংলার আবহাওয়ায় বড় পরিবর্তনের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামল ২৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। জেলায় আরও কিছুটা নীচে রাতের তাপমাত্রা। সাময়িক বদল, আর্দ্র বাতাসের পরিবর্তে শুকনো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। যদিও আবহাওয়া দফতর বলছে, বুধবার থেকেই মেঘ ঢুকতে শুরু করবে বাংলার আকাশে। বাড়বে বৃষ্টির সম্ভাবনা।