“পড়ুয়ার বই নষ্ট হলে কিনে দিতে হবে, দুর্গত এলাকায় দ্রুত ত্রাণ পৌঁছানো দরকার” – জেলাশাসকদের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
২ লক্ষ ১৬ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা। “চাষিরা যাতে কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হন। কৃষকদের স্বার্থ আমাদের দেখতে হবে।” প্রসূতিদের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে , ডানার হানার পরেই দুর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। বৈঠক করেন জেলাশাসকদের সাথেও।
দুর্যোগ মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার রাতে নবান্নে ছিলেন। এদিন বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের পরিস্থিতি মোকাবিলায় পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন। জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই ঝড় জলের পর ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়তে পারে। ব্যবস্থা নিতে হবে। সর্দির ওষুধ, ডায়েরিয়ার ওষুধ, ওআরএস পৌঁছে দিতে হবে।” খাবার জলের সঙ্গে বর্ষার জল মিশে শরীর খারাপ হতে পারে। সেজন্য দুর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত পানীয় জল পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কোনও পড়ুয়ার বই যদি ঝড়-জলে নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে বইয়ের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাকে তো বন্যার টাকা দেওয়া হয় না। দুর্যোগের ৪৮ ঘণ্টা পর ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা এদিন আরও বলেন, “মশার উপদ্রব বাড়তে পারে। সেজন্য মশারি দিতে হবে। আমি নিজে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কয়েক হাজার মশারি পাঠিয়েছি।” প্রয়োজনে যেসব গাছ পড়ে গিয়েছে, সেগুলো নতুন করে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন।