রাতভর শব্দবাজির দাপট, নিয়মের কড়াকড়ি, পুলিশি নজরদারি – ‘ফস্কা গেরো’তেই পরিণত
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
নিয়মের কড়াকড়ি, পুলিশি নজরদারি, দিনের শেষে তা ‘ফস্কা গেরো’তেই পরিণত হল। রাতভর চলল শব্দবাজির দাপট। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ল বাতাসে দূষণের মাত্রাও। উত্তর থেকে দক্ষিণ, মধ্য কলকাতা কোনও অংশই ছাড় পেল না এই দূষণ থেকে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, রাত ১১ টায় গোটা কলকাতায় বাতাসের মান সূচক ছিল ১৭০।
রাত গড়াতেই দূষণ আরও বাড়ে। সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয়েছিল শব্দ দানবের তাণ্ডব, রাত যত বাড়ল, ততই দাপটও বাড়ল। প্রতি বছরই দীপাবলির পর বিষিয়ে ওঠে রাজধানী দিল্লির বাতাস। তবে এবারের দীপাবলিতে দূষণে দিল্লিকে সমানে সমানে টেক্কা দিল দেশের পূর্বতন রাজধানী কলকাতা।
যেখানে দিল্লি দূষণে ৫০০ ছুঁল, সেখানে বাংলাও পিছিয়ে থাকল না। রাত ১১টার হিসাবে, কলকাতার বালিগঞ্জে বাতাসে দূষণের সূচক ছিল ৪৮৮। দুর্গাপুরের মহিষকাপুরে সেই সূচক ছিল ৩৮৫। হাওড়ার ঘুষুরিতে ৩০৪। যাদবপুরে ২২৭। তথ্য অনুযায়ী, রাত ১০:৪৫ মিনিটে রবীন্দ্র সরোবরে বাতাসে মানসূচক ছিল ১৯০। ফোর্ট উইলিয়াম চত্বরে এই সূচক ছিল ১৮৩, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ১৮২। অন্যদিকে, বিধান নগরেও বাতাসের মানসূচক ১৮২- তে পৌঁছয় রাত ১১ টা নাগাদ। রাত ৯টার সময়ই বাতাসের মান ছিল ১৭০।
দীপাবলিতে দূষণে দিল্লিকেও টক্কর দিয়েছে বাংলা! দুই রাজ্যেই বাজির তাণ্ডবে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার পরিমাণ পিএম ২.৫ (PM 2.5*) হু হু করে বাড়ে। কার্যত বিষিয়ে ওঠে বাতাস। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, রাত ১১টায় দিল্লির আনন্দ বিহারে বাতাসের মান ছিল ৫০০। আইটিও, এয়ারপোর্ট এলাকাতেও দূষণের সূচক ৫০০ ছোঁয়। তুলনায় রোহিণীতে সামান্য কম ছিল দূষণের পরিমাণ। বাতাসের মান ছিল ৪৮৫।