বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নিরাপদে আছেন। কারও কোনও সমস্যা হচ্ছে না। বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চলছে বলেও দাবি , এমনটাই দাবি মহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল ইসলামের।
বাংলাদেশের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে’ নাক গলানো উচিত হয়নি ভারতের, বিতর্কের মাঝেই এমন দাবি করলেন সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিবের। শফিকুল বলেছেন, ‘‘মামলায় কী হয়েছে আমি জানি না। কিন্তু বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধ হবে না। সংখ্যালঘুরা বাংলাদেশে নিরাপদে রয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে একটি বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চলছে। আমি বিদেশের সাংবাদিকদের অনুরোধ করব, তাঁরা যেন বাংলাদেশে এসে পরিস্থিতি নিজের চোখে দেখে যান। এটা সত্যি যে, বাংলাদেশের কিছু অংশে কয়েক দিন ধরে অশান্তি চলেছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি একেবারে নিয়ন্ত্রণে।’’
বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধ হবে না, আশ্বস্ত করেছেন শফিকুল। ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে চেয়ে মামলা হয়েছিল বাংলাদেশের হাই কোর্টে। সেই আবেদন অবশ্য খারিজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওই মামলাতেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ইসকনকে ‘ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন’ তকমা দিয়েছিল।শফিকুল জানিয়েছিলেন, চট্টগ্রাম এলাকায় গিয়েছিলেন ইউনূস স্বয়ং। সেখানে তিনি সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কথা বলেছেন, মন্দিরগুলি ঘুরে দেখেছেন, সাধারণ মানুষের সমস্যার খোঁজখবর করেছেন। চট্টগ্রামে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর থেকে অশান্তি শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম, রংপুরের মতো এলাকায় সংখ্যালঘুরা চিন্ময়কৃষ্ণের মুক্তির দাবিতে পথে নেমেছেন। বিক্ষোভ, সংঘর্ষ চলছে বিভিন্ন প্রান্তে। এই পরিস্থিতিতে সে দেশের পরিস্থিতি, সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার এবং চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বিবৃতি জারি করেছে নয়াদিল্লি।
চিন্ময় কৃষ্ণ বাংলাদেশের আদালতে সঠিক বিচার পাবেন বলেই আশা নয়াদিল্লির। ভারতের বিবৃতিকে ‘দ্বিচারিতা’ বলে উল্লেখ করেছেন ইউনূসের আইন বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ভারতে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।