অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কি পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন ? মমতার উত্তর, ”সেটা দল ঠিক করবে।” তিনি দলের চেয়ারপার্সন। পদমর্যাদা অনুযায়ী, তাঁর পরেই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের স্থান। তবে কি রাজ্যের শাসকদলের মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাটন হাত বদল হয়ে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে যাবে ?
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ”আমি একা দল চালাই না। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দল আর দলীয় কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ। এটা যৌথ পরিবারের মতো। আমিত্বে বিশ্বাস করি না। সকলকে নিয়ে চলতে হবে। তাই দলের সবাই মিলে এটা ঠিক করবে। যদি বলি,আমি একাই সিদ্ধান্ত নেব, তা তো ঔদ্ধত্যের কথা হবে।” ফের স্পষ্ট বার্তা দিলেন, ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়, তৃণমূল কংগ্রেস মা-মাটি-মানুষের সংঘবদ্ধ দল এবং সুসংহত ঐক্যেই ভরসা রাখেন।
ফলে দলে তাঁর উত্তরসূরি কে হবেন, তা নির্বাচনের দায়িত্বও দলের হাতেই তুলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ কাউকে তৈরি করা কিংবা ভেবে রাখা নয়, দলের সকলে মিলে যাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার যোগ্য বলে মনে করবেন, তাঁকেই পদে বসানো হবে। সেক্ষেত্রে অভিষেকের নাম এলে, তিনি হতেও পারেন। তবে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একক সিদ্ধান্তে হবে না।
কোনও ব্যক্তি বিশেষকে প্রাধান্য দিয়ে নয়, দলকে একজোট করে এগিয়ে চলার মন্ত্রেই বরাবর বিশ্বাসী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ দল হিসেবে সমস্ত নির্বাচনে তৃণমূলের সাফল্য এসেছে। দিন কয়েক আগেও দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ডেকে তিনি জোটবদ্ধ থাকার বার্তা দিয়েছেন। যে এলাকায় যখনই দলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের খবর কানে এসেছে, মমতার একটাই দাওয়াই, নিজেদের মধ্যে ‘ঝগড়া’ নয়, ঐক্যবদ্ধ হয়ে শুধু দলের কাজ করতে হবে।