প্রতিদিন প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ যাতায়াত করতে পারবে বলেই জানা গিয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের কথা ভেবে উত্তর শহরতলির রেলের শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার ভিড় কমানো-সহ এয়ারপোর্ট থেকে ১২নম্বর জাতীয় সড়কের যানজটে রাশ টানতে ২০১০-২০১১ সালে বারাসত-নোয়াপাড়া মেট্রো রেল তৈরির ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বারাসত-নোয়াপাড়া মেট্রোরেল তৈরির ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২ বছরের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে বলেই জানালেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ।
২০২৬ সালের মধ্যেই শেষ হবে বলেই রবিবার জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। এদিন নিজের জন্মদিনে প্রণবানন্দ শিল্প শিক্ষানিকেতনে এসে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “বারাসত-নোয়াপাড়া মেট্রো, ভায়া এয়ারপোর্ট ট্রায়াল হয়েছে। বিটি কলেজ পর্যন্ত কাজ হচ্ছে। আশা করি ২০২৬ সালে বারাসত পর্যন্ত মেট্রো আসবে।
তাহলে নাগরিকদের আরও সুবিধা-স্বাচ্ছন্দ্য হবে, উপকার হবে।” জানা গিয়েছে, প্রস্তাবিত এই রেল পথটি দুটি ভাগে বিভক্ত। প্রথমটি নোয়াপড়া স্টেশন, দমদম ক্যান্টনমেন্ট, যশোর রোড এবং বিমানবন্দর। মোট দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার।
প্রসঙ্গত, নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রোরেলে ট্রায়াল রান হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে মাইকেলনগর পর্যন্ত মেট্রোর সম্প্রসারণেরর কাজও প্রায় সমাপ্তির পথে। বিমানবন্দর থেকে বিরাটি, মাইকেলনগর ও নিউ বারাকপুর স্টেশনের মধ্যবর্তী কমবেশি সাড়ে ৩ কিলোমিটার রেলপথ বিগত ৫-৬ বছর আগে ভূগর্ভস্থ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে সবথেকে বেশি সমস্যা তৈরি হয় প্রস্তাবিত নিউ বারাকপুর থেকে বারাসত পর্যন্ত প্রায় ৫ কিমি রেলপথ নির্মাণ করতে। কারণ এই অংশে প্রায় হাজারখানেক দোকান সহ প্রায় দু’হাজার অনুমোদিত নির্মাণ রয়েছে। এছাড়াও এই অংশে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ উত্তোলিত পথে রেলপথ নির্মাণে আপত্তি জানিয়েছিল।