শনিবার বিচারক অনির্বাণ দাস ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইকে দোষী সাব্যস্ত ঘোষণার পর আদালত কক্ষেই কেঁদে ফেলেন তিলোত্তমার বাবা। বিচারককে ধন্যবাদ জানালেন। একই সঙ্গে জানালেন, এবার লড়াইয়ের দ্বিতীয় সিঁড়ি। মেয়েকে হারানোর পর কেটে গিয়েছে ১৬২ দিন। তিলোত্তমার বাবা-মার অভিযোগ, শুধু সঞ্জয়ের একার পর এমন নৃশংস কাজ করা সম্ভব নয়। এর সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত। তবে তাঁরা নজর রাখছিলেন, শিয়ালদহ আদালত কী রায় দেয় সেদিকে।
তিলোত্তমার বাবা বলেন, “সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করেছেন বিচারক। সোমবার সাজা ঘোষণা করবেন। বিচারের প্রথম সিঁড়ি পেরোনো গিয়েছে। সোমবার তিনি যে সাজা ঘোষণা করবেন, তাতে বিচারের দ্বিতীয় সিঁড়িতে পা রাখতে পারব বলে আশা করি।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “বিচারককে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা আমার নেই। বিচারক যেভাবে আমাদের বিষয়টা দেখেছেন, তাঁর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।”
এদিন শিয়ালদা আদালতে উপস্থিত ছিলেন তিলোত্তমার বাবা। বিচারক অনির্বাণ দাস ধৃত সিভিককে দোষী সাব্যস্ত ঘোষণার পর কেঁদে ফেলেন তিনি। পরে বিচারককে জানান, তাঁকে কিছু বলতে চান। বিচারক তাঁকে বলতে বললে তিলোত্তমার বাবা বলেন, “আপনার উপর আস্থা রেখেছিলাম।” বিচারক তাঁকে বলেন, “আপনাদের বক্তব্য সোমবার শুনব।”তিলোত্তমার বাবা বলেন, “সঞ্জয় রাই একা জড়িত বলে বিশ্বাস করি না। সেজন্যই তো আরও তদন্তের আবেদন জানিয়েছি।”